কুম্ভ মেলায় গুড়, বাতাসা বিলোচ্ছে বামেরা! কেষ্ট-পথে জনসংযোগ?

কুম্ভ মেলায় গুড়, বাতাসা বিলোচ্ছে বামেরা! কেষ্ট-পথে জনসংযোগ?

 কল্যাণী: স্টেশন থেকে বাসস্ট্যান্ড, প্রায় ৬ কিলোমিটার পথ। বীরপাড়া বাসস্টপ ছাড়িয়ে কিছুটা হাঁটলেই মাঝেরচর। মূল রাস্তা থেকে ২ কিলোমিটা হাঁচার পর পৌঁছনো যায় মেলায়। এখন ফেব্রুয়ারি মাস চললেও রোদের তেজ বেশ চড়াই৷ শীতের মরশুমে অপ্রত্যাশিত গরমে ভক্ত এবং দর্শনার্থীদের পথের এই ক্লান্তি দূর করতে জলছত্র নিয়ে বসেছে বামেরা। নদিয়ার মাঝেরচরের কুম্ভ মেলায় তাঁরা বিলোচ্ছেন গুড়, বাতাসা৷ কেষ্টর গুড়, বাতাসা উঠল বামেদের হাতে৷ 

আরও পড়ুন- ‘সিবিআই-ইডি-র অত্যাচারে তাপস পাল তো মারাই গেলেন!’, পার্থর জামিন প্রসঙ্গে বিস্ফোরক দেবাংশু

মেলা প্রাঙ্গনে ক্লান্ত মানুষদের গুড়-বাতাসা বিলানোর দায়িত্ব পালন করছেন বামেদের যুব সংগঠন ডিওয়াইএফআই এবং ছাত্র সংগঠন এসএফআই। ডিওয়াইএফআই এবং এসএফআই-এর দেওয়া তথ্য বলছে, তিন দিন ধরে প্রায় ৫ হাজারের বেশি মানুষের হাতে গুড়-বাতাসা এবং বিশুদ্ধ পানীয় জল তুলে দেওয়া হয়েছে। দুই বাম সংগঠনের ছাত্র-যুব স্বেচ্ছাসেবীদের কথায়, এই পরিষেবা সামাজিকতা৷ এটা তাঁদের কর্তব্যবোধ। সবটাই তাঁরা করছেন মানুষের জন্য। তবে রাজনীতির কুশীলবদের মতে, পঞ্চায়েত ভোটের আগে এটা বামেদের জনসংযোগ বাড়ানোর প্রয়াস।

কুম্ভ মেলার মূলমঞ্চ থেকে কিছুটা আগে জলছত্র তৈরি করা হয়েছে কল্যাণী সিপিএমের ছাত্র-যুব সংগঠনের পক্ষ থেকে। মেলায় ঢুকলেই চোখে পড়বে লাল কাপড়ে মোড়া স্টল৷ সামনে গেলেই এগিয়ে দেওয়া হচ্ছে, গুড়, জল, বাতাসা। যদিও ধর্মীয় অনুষ্ঠানে বামেদের সংগঠনের ‘অংশগ্রহণ’ নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস৷ বিঁধেছেন প্রধান বিরোধী দল বিজেপিও। তাঁদের বক্তব্য, এত দিন পুজোর সময় বইয়ের স্টল দিয়ে জনসংযোগ করত৷ বিক্রিবাটা করত বামেরা। এ বার  জলছত্র।

যদিও এ সব কথায় কর্ণপাত করতে নারাজ বামারা৷ তাদের কাছে এটা আর পাঁচটা সামাজিক অনুষ্ঠানের মতোই৷ নেতারা জানাচ্ছেন, তাদের এই জলছত্র থেকে শুধু গুড়, বাতাসা বিলি নয়, প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থাও রয়েছে। আর সবটাই করা হয়েছে মানুষের জন্যে। সেখানে ধর্মীয় সমীকরণ খুঁজতে যাওয়াটা অনুচিত৷