‘পায়ে লেগেছে বলে কষ্ট হচ্ছে, ১৩০ জনের মত্যুর জন্য কষ্ট হয় না?’ মমতাকে খোঁচা অমিতের

‘পায়ে লেগেছে বলে কষ্ট হচ্ছে, ১৩০ জনের মত্যুর জন্য কষ্ট হয় না?’ মমতাকে খোঁচা অমিতের

রানিবাঁধ: বঙ্গ সফরের দ্বিতীয় দিনে কপ্টারের যান্ত্রিক গোলযোগের জেরে ঝাড়গ্রামে পৌঁছতে পারেননি অমিত শাহ৷ ভার্চুয়ালি সভা করতে হয়েছে তাঁকে৷ কিন্তু রানিবাঁধে এসে আক্রমণের ঝাঁঝ বাড়ালেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী৷ 

আরও পড়ুন-  নন্দীগ্রামকাণ্ডের পর রাজ্যের নিরাপত্তা অধিকর্তা বদল, দায়িত্বে জ্ঞানবন্ত সিং

এদিন তিনি বলেন, রাজ্য কাটমানি, তোলাবাজি আর তুষ্টিকরণ চলছে৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার আদিবাসীদের অধিকারের জন্যও কাটমানি চাইছে৷ গত দশ বছরে বাংলায় কাটমানি সংস্কৃতি গড়ে উঠেছে৷ অন্যদিকে রয়েছে নরেন্দ্র মোদী সরকার৷ যারা বাংলাকে সোনার বাংলা গড়ে তুলতে চায়৷  

তিনি বলেন, মানুষ ভেবেছিল তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় এলে হিংসার রাজনীতি বন্ধ হয়ে যাবে৷ কিন্তু তৃণমূল জমানায় শুধুই দুর্নীতি হয়েছে৷ এর চেয়ে তো ভালো ছিল কমিউনিস্টরা৷ আদিবাসীদের সার্টিফিকেট দিতে গেলেও এখন ১০০ টাকা ঘুষ দিতে হয়৷ কিন্তু বিজেপি সরকার ক্ষমতায় এলে আর ঘুষ দিতে হবে না৷ এখানে ঘুষ না দিলে কোনও কাজ হয় না৷ সিন্ডিকেট গড়ে তোলা হয়েছে৷ কাটমানি নেওয়া হচ্ছে৷ আম্পানের ত্রাণও লুঠ করেছে তৃণমূল৷ কেন্দ্রের চাল গরিব মানুষের পেটে নয়, গিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের হাতে৷ সব জায়গায় তোলাবাজি চলছে৷ এই তোলাবাজির সংস্কৃতি বাংলার মানুষকেই বদলাতে হবে৷ 

মানুষ মনে করেছিল, কমিউনিস্ট জমানা শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বাংলায় হিংসাও বুঝি শেষ হয়ে যাবে৷ কিন্তু তৃণমূল জমানায় হিংসা এতটাই বেড়ে গিয়েছে, যে বামফ্রন্ট জমানাকেও ভালো মনে হচ্ছে৷ রাজ্যে ১৩০ জনেরও বেশি বিজেপি কর্মীর মৃত্যু হয়েছে৷ তোপ দেগে অমিত শাহ বলেন, মমতাদি পায়ে আঘাত পয়েছেন৷ কিন্তু কী ভাবে চোট লেগেছে তা কেউ জানে না৷ তৃণমূল বলছে ষড়যন্ত্র হয়েছে৷ অথচ নির্বাচন কমিশন বলছে, হামলা হয়নি, দুর্ঘটনা হয়েছে৷ আপনার পায়ে আজ আঘাত লেগেছে আপনি কষ্ট পাচ্ছেন৷ কিন্তু যে ১৩০ জনের বেশি বিজেপি কর্মী রাজনৈতিক হিংসার শিকার হয়েছে তাঁদের জন্য কষ্ট হয় না? তাঁদের মায়েদের কষ্ট, পরিবারের কষ্টের কথা উনি জানেন না৷ যাঁরা মারা গিয়েছে, তাঁরাও কারও সন্তান, কারও স্বামী, কারও বাবা, কারও ভাই ছিলেন৷ মৃত্যুর সময় তাঁদেক কষ্ট হয়নি?  প্রার্থনা করি অপনি সুস্থ হয়ে যান৷ কিন্তু ভালো লাগত যদি ১৩০ জনের জন্যও আপনি কষ্ট পেতেন৷ 

আরও পড়ুন-  মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রার্থী পদ বাতিলের দাবিতে কমিশনে শুভেন্দু

শাহ বলেন, এখানে কয়লা চুরি হচ্ছে৷ গরু পাচার হচ্ছে৷ অনুপ্রবেশ হচ্ছে৷ তৃণমূল সরকার এই অনুপ্রবেশ রুখতে পারবে না৷ রাজ্যে শান্তি ফেরাতে পারে একমাত্র ভারতীয় জনতা পার্টির সরকার৷      

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

five + 1 =