কলকাতা: গায়ে আগুন লাগিয়ে আত্মঘাতী হলেন সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক অবন্তিকা ভট্টাচার্য। দগ্ধ অবস্থায় প্রাথমিকভাবে তাকে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল কিন্তু অবশেষে প্রাণে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। জানা গিয়েছে কর্মজীবন নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে হতাশায় ভুগছিলেন তিনি এবং বদলি সংক্রান্ত ইস্যুতে কার্যত ক্ষোভ ছিল তাঁর।
আরও পড়ুন- ‘উনিশে হাফ, একুশে সাফ?’ ‘হারের কারণ বিশ্লেষণে ভয় পাচ্ছে BJP ’, টুইটে খোঁচা তথাগতর
জানা গিয়েছে চিকিৎসক অবন্তিকা ভট্টাচার্যের স্বামীও একজন চিকিৎসক। দীর্ঘ আট বছর মেদিনীপুরের সরকারি হাসপাতালে কর্মরত ছিলেন অবন্তিকা এবং বেশ কিছু সময় ধরেই কলকাতায় বদলির আবেদন জানিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু কিছুতেই কোনো লাভ হচ্ছিল না। অবশেষে তাকে বদলি করা হয় ডায়মন্ড হারবারে এবং এরপর থেকেই আরো বেশি অবসাদে ভুগতে শুরু করেছিলেন অবন্তিকা। তাঁর ঘনিষ্ঠ মহলের দাবি, একে অবন্তিকার বিগত বছরে পদোন্নতি হয়নি এর পাশাপাশি আবার জেলায় বদলি, সব মিলিয়ে চূড়ান্ত হতাশ হয়ে পড়েছিলেন তিনি। সম্প্রতি একটি ফেসবুক পোস্ট করেন অবন্তিকা যাতে পুরোপুরি ইঙ্গিত মিলেছিল যে তিনি কতটা হতাশায় ভুগছেন। অবশেষে তিনি গায়ে আগুন লাগিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। এসএসকেএম হাসপাতালে তার চিকিৎসা চলছিল কিন্তু সোমবার রাতেই মৃত্যু হয়। চিকিৎসক অবন্তিকা ভট্টাচার্যের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছে চিকিৎসক মহল। এক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের নীতিকে দায়ী করছে তারা।
অবন্তিকা তো বটেই, তাঁর ঘনিষ্ঠ চিকিৎসকদের একাংশ রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন সোশ্যাল মিডিয়াতে। এমনকি বদলি নীতি নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে অনেকবার। সম্প্রতি শিক্ষিকাদের বদলি নিয়ে তোলপাড় হয় রাজ্য কারণ ৫ জন শিক্ষিকা বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন এই একই কারণে। এরপর চিকিৎসকের মৃত্যুর ঘটনা যে রাজ্য সরকারের ওপর আরো বেশি চাপ বাড়িয়ে দিল তা বলাই বাহুল্য।