‘পাঠান, ইংরেজ, কংগ্রেস, সিপিএমকে তাড়িয়েছি, এবার তৃণমূলকে তাড়াবো’, হুঙ্কার দিলীপের

‘পাঠান, ইংরেজ, কংগ্রেস, সিপিএমকে তাড়িয়েছি, এবার তৃণমূলকে তাড়াবো’, হুঙ্কার দিলীপের

58dee89bd290898b88d67a425cf259d1

কলকাতা: একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে পশ্চিমবঙ্গে ক্রমবর্ধমান রাজনৈতিক উত্তাপের মাঝেই বঙ্গ সফরে এসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। উত্তরাখণ্ডের ভয়াবহ প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের দুশ্চিন্তাও তাঁকে সফর বাতিল করতে দেয়নি। এমতাবস্থায়, হলদিয়ার গেরুয়া জনসভা থেকে প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে রাজ্যের শাসকদলকে এক হাত নিয়েছেন দিলীপ ঘোষ। 

আরও পড়ুন- বাংলার জনতার কল্যাণে গুচ্ছ প্রকল্প উৎসর্গ করেন প্রধানমন্ত্রী!

এদিন প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের আগে রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ জনগণের সামনে তাঁর বক্তব্য রাখেন। মেদিনীপুরবাসীর কাছে আগামী নির্বাচনে সোনার বাংলা তৈরি করে প্রধানমন্ত্রীকে উপহার দেওয়ার আবেদন জানান তিনি। তাঁর কথায়, “আমরা ইংরেজ, পাঠান তাড়িয়েছি, কংগ্রেস, সিপিএম তাড়িয়েছি। এবার তৃণমূলকেও তাড়িয়ে সোনার বাংলা উপহার দেব প্রধানমন্ত্রীকে।”

হলদিয়ার জজনসভায় এদিন বিপুল জনসমাগমের দাবি করেন দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন সভাস্থলের ভিতরে থাকার জায়গা পেয়েছেন অন্তত ২ লক্ষ মানুষ। কিন্তু স্থান সংকুলানের কারণে আরো ১ লক্ষ মানুষ বাইরে দাঁড়িয়ে আছেন, তাঁদের জায়গা দেওয়া যায় নি। পরের বার প্রধানমন্ত্রী মেদিনীপুরে এলে তাঁদেরকে সুযোগ দেওয়ার আশ্বাসও দেন গেরুয়া শিবিরের রাজ্য সভাপতি। 

আরও পড়ুন- ‘এই সরকার মহামারীর সুযোগেও দুর্নীতি করে’, আক্রমণ মোদীর

প্রধানমন্ত্রীর সামনে এদিন প্রথম থেকেই শাসকদলের বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক ছিলেন দিলীপ ঘোষ। স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে একের পর এক আক্রমণ করে চলেন মুখ্যমন্ত্রী ও তাঁর দলকে। তিনি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী ক্ষমতায় আসার পর রাজ্যের অনেক উন্নতির কথা বলেছিলেন। কিন্তু আমরা দেখেছি গত ১০ বছরে পশ্চিমবঙ্গকে তিনি বৃদ্ধাবাসে পরিণত করেছেন।” মূলত কর্মসংস্থান নিয়েই এদিন মুখ্যমন্ত্রীকে বেঁধেন দিলীপ ঘোষ। বাংলায় কাজ না থাকায় এ রাজ্য থেকে যুবকরা কাজের জন্য বাইরে চলে যাচ্ছে, বলেন তিনি। তাঁর কথায়, “বাংলার যুবকরা সেই রাজ্যে যাচ্ছে যেখানে আমাদের প্রধানমন্ত্রী একসময় মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন।” ক্ষমতায় এলে এ রাজ্যে যুবকদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করবেন বলে আশ্বাসও দিয়েছেন তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *