কলকাতা: সামনেই ২১-এর নির্বাচন৷ এর আগে আরও এবার প্রকাশ্যে রাজ্য বিজেপি’র অন্দরের অন্তর্কলহ৷ বিজেপি’র যুব মোর্চা সভাপতি সৌমিত্র খাঁয়ের সঙ্গে রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে উঠে এল৷ সৌমিত্র খাঁ জানতেই পারলেন না, অথচ বাতিল হয়ে গেল জেলা কমিটি৷
আরও পড়ুন- পুজোয় এবার ‘হাই অ্যালার্ট’ হাসপাতালে! সঙ্গে রাখুন জরুরি কিছু নম্বর
সপ্তমীর সকালে দিলীপ ঘোষ একটি লিখিত বিবৃতি দিয়ে জেলা কমিটি ভেঙে দেন৷ গতকাল যুব মোর্চা কমিটির চারজন জেলা সভাপতির নাম ঘোষণা করেছিলেন সৌমিত্র খাঁ৷ এর আগেও বিভিন্ন জেলার সভাপতির নাম ঘোষণা করা হয়েছে৷ সমস্ত জেলার সভাপতির নাম ঘোষণার পর আজ আচমকাই দিলীপ ঘোষ জানান, যুব মোর্চার পক্ষ থেকে যে জেলা কমিটি ও জেলা সভপতির নাম ঘোষণা করা হয়েছিল সেগুলি বাতিল করা হল৷ পরবর্তী ঘোষণা পর্যন্ত এই সিদ্ধান্ত বলবৎ থাকবে৷ এই ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে সভাপতি পদেরও আর কোনও গুরুত্ব থাকল না৷
বিষ্ণপুর লোকসভার সাংসদ সৌমিত্র খাঁকে সম্প্রতি যুব সভাপতি পদে নিয়োগ করা হয়েছে৷ খাতায় কমলে রাজ্যসভাপতি দিলীপ ঘোষই তাঁকে এই পদে নিয়োগ করেছেন৷ তবে বাস্তব হল, সবটাই হয়েছে দিল্লির অঙ্গুলিহেলনে৷ যুব সভাপতি পদে দায়িত্ব নেওয়ার পর নিজের মতো কাজ শুরু করেছিলেন সৌমিত্র৷ তিনি নিজের মতো করে যুব সংগঠন তৈরি করতে চাইছিলেন বলেও দাবি৷ যে ভাবে জেলা কমিটি গঠিত হয়েছে, তাতে দিলীপবাবুর আপত্তি রয়েছে বলেই সূত্রের খবর৷ জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিন বিজেপি করার পরেও অনেকে কমিটিতে স্থান পাননি৷ অনেককেই কমিটি থেকে সরানো হয়েছে৷
আরও পড়ুন- শোভন-বৈশাখীকে পুজোর উপহার ‘দিদি’র! মোদীর অনুষ্ঠানে গরহাজিরা বাড়াচ্ছে ‘ঘরে ফেরা’র জল্পনা!
এদিকে, এই সিদ্ধান্তের বিষয়ে তিনি অবহিত নন বলেই জানান সৌমিত্র খাঁ৷ তিনি জানান, দিলীপ ঘোষের সঙ্গে তাঁর কোনও কথা হয়নি৷ সমস্ত জেলা কমিটি এখনও কার্যকর রয়েছে বলেই দাবি তাঁর৷ অন্যদিকে জেলা সভাপতিদের অভিযোগ, তাঁদেরকে না জানিয়েই জেলা কমিটি গঠন এবং মোর্চার জেলা সভাপতি ঘোষণা করা হয়েছে৷ ফলে দলীয় অনুশাসন অনুযায়ী এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি৷