কলকাতা: বিশাল জাঁকজমকের মধ্যে দিয়ে বৃহস্পতিবার বাংলায় প্রথম গেরুয়া শিবিরের দুর্গাপুজোর উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী৷ সল্টলেকের ইজেডসিসির সভাঘরে বঙ্গ বিজেপির প্রায় সমস্ত শীর্ষ নেতাকে দেখা গেলেও মেমেনি দু’জনের উপস্থিতি৷ খোদ প্রধানমন্ত্রীর ভর্চুয়াল কলকাতার প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় ও বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের গরহাজিরা ঘিরে নতুন করে তৈরি হয়েছে বিতর্ক৷ ভাইফোঁটার পর এবার পুজোয় ‘দিদি’ থেকে উপহার গেল প্রিয় কাননের ঠিকানায়!
আনুষ্ঠানিকভাবে বিজেপিতে নাম লেখালের পরেও সক্রিয় রাজনীতিতে ফিরতে পারেননি শোভন চট্টোপাধ্যায়৷ গেরুয়া-রাজনীতিতে প্রভাবও ফেলতে পারেননি বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়৷ নতুন দলের কর্মসূচিতে তাঁদের দেখা খুব একটা মেলেনি৷ স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীর অনুষ্ঠানেও তাঁদের গরহাজিরা ঘিরে নতুন করে তৈরি হয়েছে জল্পনা৷
বিজেপির আন্তরিকতা নিয়ে দু’জনের মনেই রয়েছে ধন্দ৷ সেকথা একাধিকবার জানিয়েছেন তাঁরা৷ বঙ্গ বিজেপির নেতৃত্বের বিরুদ্ধে সরাসরি মুখ খুলেছিলেন বৈশাখীদেবী৷ বিজেপির সঙ্গে তাঁদের দূরত্ব চওড়া হচ্ছে, কার্যত স্পষ্ট৷ ভাইফোঁটার দিনে ‘দিদি’র বাড়িতে গিয়ে শোভন-বৈশাখীর ফোঁটা ঘিরে বেড়েছিল তৃণমূলে ফেরার জল্পনা৷ কিন্তু, না হয়ে তৃণমূলে ফেরা, না সক্রিয়তা বেড়েছে বিজেপিতে৷
প্রধানমন্ত্রীর অনুষ্ঠানে তাঁদের গরহাজির পর বৃহস্পতিবার বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় ফেসবুক স্টেটাসে জানিয়েছেন, পুজো উপলক্ষ্যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর জন্য শাড়ি ও শোভনবাবুকে কুর্তা–পাজামা উপহার পাঠিয়েছেন৷ বৈশাখীদেবীও ‘দিদি’কে শারদ উপহার পাঠিয়েছেন৷ জানিয়েছেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ভালবাসার সম্পর্ক ভবিষ্যতে নিবিড় থাকবে৷’’ এর আগে গত বছর মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে ভাইফোঁটা নিতে গিয়েছিলেন শোভন-বৈশাখী৷ তারপর তাঁদের দেখা গিয়েছিল চলচ্চিত্র উৎসবের অনুষ্ঠানের অতিথি আসনে৷ তারপর থেকে বাড়ছিল, তবে কি তাঁরা ফের তৃণমূলে ফিরছেন? সেই জল্পনা এখনও দিনের আলো না দেখলেও দুর্গাপুজোর উপহার বিনিময় ঘিরে নতুন করে তৈরি হয়েছে জল্পনা৷