কলকাতা: দলীয় নেতার তোপের মুখে রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ৷ কুণাল ঘোষের সঙ্গে দিলীপ ঘোষের ছবি পোস্ট করে নিশানা করা হল তাঁকে৷ সভাপতির বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিলেন নাননুরের মণ্ডল সভাপতি৷ তাঁর মন্তব্যকে সমর্থন জানালেন নানুরে পরাজিত বিজেপি প্রার্থী৷
আরও পড়ুন- অগ্নিমূল্য জ্বালানি, প্রতিবাদে সিঙ্গুর থেকে সাইকেল চালিয়ে বিধানসভায় বেচারাম
প্রসঙ্গত, নির্বাচনে ভরাডুবির পর থেকেই বিপর্যস্ত গেরুয়া শিবির৷ বহু বার দলে বিক্ষোভ হয়েছে৷ দিলীপ ঘোষকে ঘেরাও করেও বিক্ষোভ দেখানো হয়েছে৷ এই পরিস্থিতিতে একটি বিয়ে বাড়িতে কুণাল ঘোষের সঙ্গে দিলীপ ঘোষের ছবি ভাইরাল হতেই সমালোচনা ঝড় উঠেছে৷ নানুরের মণ্ডল সভাপতি শঙ্খচূড় ঘোষের বক্তব্য, ‘‘বিজেপি’র নীচুতলার কর্মীরা এখনও হতাশাগ্রস্ত৷ এখনও ভয়ে ঘরছাড়া৷ এই অবস্থায় রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ একটি বিয়েবাড়ির অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন৷ সেখানে আমরা দেখি তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষের সঙ্গে তিনি মুখ বাড়িয়ে কথা বলছেন৷ একসঙ্গে খাচ্ছেন৷ এটা আমাদের কাছে খুবই খারাপ লাগার জায়গা৷ যে সৌজন্যের কথা বলা হচ্ছে, সেই সৌজন্যের প্রথম অক্ষরটুকুও নীচুতলার কর্মীরা পাননি৷ আমরা মামনীয় সভাপতির কাছ থেকে এটা আশা করতে পারছি না৷’’
প্রসঙ্গত ওই বিয়ে বাড়িতে কুণাল ঘোষ ও দিলীপ ঘোষকে পাশাপাশি বসে কথা বলতে ও এক সঙ্গে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গিয়েছে৷ যা নিয়ে এ দিন খোঁচ দেন শঙ্খচূড় ঘোষ৷ যা নিয়ে দলের অন্দরে অস্বস্তি বেড়েছে৷ উল্লেখ্য, ভোটের পর থেকে নানুরেও অশান্তি বেড়েছে৷ বহু বিজেপি কর্মী ঘরছাড়া বলে আভিযোগ৷ এই অবস্থায় মণ্ডল সভাপতি লিখেছেন, ‘‘সাধারণ কর্মীরা প্রাণে মরে, বড় বড় নেতারা সুস্বাধু ভোজন করে।’’
আরও পড়ুন- ‘ব্রিকসে’ যোগদান! লোকসভা ভোটে প্রার্থীও হয়েছিলেন ‘ভুয়ো’ সনাতন
এ প্রসঙ্গে তৃণমূলের বক্তব্য, বিজেপি’র মণ্ডলস্তরের কিছু নেতা উপরতলার নেতাদের কৃতকর্মের পরিপ্রেক্ষিতে হতাশ৷ তাঁরা এখনও গ্রামছাড়া, ঘর ছাড়া৷ তাঁদের দলে নেওয়া হবে কিনা, তা জেলা কমিটি সিদ্ধান্ত নেবে৷ তবে কেউ গ্রামে ফিরতে চাইলে আমাদের বলতেই পারেন৷ আমাদের কর্মীরা যাতে কোনও অশান্তি না করে সেটা দেখার দায়িত্ব আমাদের৷