কলকাতা: ক্রমাগত অপমানিত হচ্ছেন, এত বড় মাপের নেতার এইভাবে অপমানিত হওয়া মানায় না! এই দাবি করে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরীকে বিজেপিতে আসার ডাক দিলেন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি স্পষ্ট জানালেন, অধীর রঞ্জন চৌধুরী বিজেপিতে আসার কথা ভাবতেই পারেন। ওনার মতো নেতার জন্য বিজেপিতে জায়গার কোনও রকম অভাব হবে না। যদিও এই ব্যাপারে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। তবে হঠাৎ এই মন্তব্য কেন করলেন দিলীপ ঘোষ, তা নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে। আর এই প্রসঙ্গে উঠে আসছে গত রবিবারের ব্রিগেডের কথা।
আরও পড়ুন – বড় খবর: ব্রিগেডে মোদীর হাত ধরে BJP-তে সৌরভ? জোর জল্পনা শুরু
মূলত, বিতর্ক শুরু হয়েছে ব্রিগেডের মঞ্চে ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের আব্বাস সিদ্দিকির ওঠা এবং অধীর চৌধুরীর বক্তব্য থামানো, ও তার পরবর্তী ক্ষেত্রে আব্বাসের বক্তৃতায় কংগ্রেসকে আক্রমণ নিয়ে। ব্রিগেডে আব্বাস সিদ্দিকি মন্তব্য করেছিলেন, আগামী নির্বাচনে যেখানে বামেরা প্রার্থী দেবে সেখানে রক্ত দিয়ে জেতাবেন। এদিকে নাম না করে কংগ্রেসের উদ্দেশ্যে বার্তা দিয়েছিলেন, ভাগীদার হতে চান, ভিক্ষা চান না। বন্ধুত্বের হাত বাড়াতে তাদের স্বাগত জানানো হবে।শুধু তাই নয়, পরবর্তী ক্ষেত্রে আব্বাস এও দাবি করেন, কংগ্রেসের এক নেতা বিজেপি ও তৃণমূলের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছেন। ভোটের পর পদের বিনিময়ে তৃণমূলকে সমর্থন করবেন তিনি। যদিও তিনি কারোর নাম নেননি কিন্তু এতে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী অপমানিত হয়েছেন বলে মনে করছে ভারতীয় জনতা পার্টি শিবির।
আরও পড়ুন – ‘রক্ত বিক্রি করে আত্মনির্ভর হবে ভারত?’ মোদীকে তীব্র আক্রমণ মিমির
এদিকে, গতকাল সাংবাদিক বৈঠকে ব্রিগেড প্রসঙ্গে কথা উঠতেই আব্বাসের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে বিমান বসু বলেন, সবাই যখন থাকবে তখন এক সুরে কথা বলতে হয়! এক্ষেত্রে তা করা হয়নি তাই তিনি একেবারেই সমর্থন করেন না ব্যাপারটাকে। তবে বিমান বলছেন, নতুন দল হবার জন্যই হয়তো এইসব ব্যাপারে অভিজ্ঞতা নেই, পরে সবাই বুঝে যাবে। তবে ড্যামেজ কন্ট্রোলের চেষ্টা করলেও একটা ব্যাপার পরিষ্কার, জোটের মধ্যেও এখন অনেক ‘অজোট’ ব্যাপার রয়ে গিয়েছে যা কিঞ্চিৎ প্রকাশ পাচ্ছে। সেটা নিয়ে জোটের দলগুলোর মধ্যে কিছুটা হলেও অস্বস্তি রয়েছে।