ভোট আসবে-যাবে, এটা বেঁচে থাকার সময়! প্রচারে মাস্ক পরার অনুরোধ দেবের

ভোট আসবে-যাবে, এটা বেঁচে থাকার সময়! প্রচারে মাস্ক পরার অনুরোধ দেবের

হুগলী: ভারত তথা বাংলার করোনাভাইরাস পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে যাচ্ছে। কিন্তু সেই প্রেক্ষিতে সচেতনতায় কোনও জোর দেওয়া হচ্ছে না। এই নিয়ে বারবার সতর্ক করছেন বিশেষজ্ঞরা, কিন্তু কোনও হেলদল নেই। ভোটের আবহে রাজনৈতিক প্রচারেও নেই মাস্ক পরার তাগিদ, নেই পারস্পরিক দূরত্ব বজায় রাখার দায়। তবে ভোটের প্রচারে বেরিয়েও মানুষকে সচেতন করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ তথা অভিনেতা দেব। আজ হুগলীর সপ্তগ্রামে জনসভা করতে গিয়ে মানুষকে সচেতন হওয়ার বার্তা দিলেন তিনি। 

দেবের বক্তব্য, এটা বেঁচে থাকার সময়, ভোট আসবে, ভোট যাবে। করোনা পরিস্থিতি যা হচ্ছে তাতে কেউ যেন ব্যাপারটা হালকা ভাবে না নেয়। তাহলে পরে বিপদ হতে পারে। এই বলে সভায় আগত সকলকে মাস্ক পরে নেওয়ার অনুরোধ করেন তিনি। একেবারে কার্যত ডেকে ডেকে সকলকে মাস্ক পরান দেব। এর পাশাপাশি তিনি ফের একবার মনে করিয়ে দেন যে, দেশের করোনা পরিস্তিতি কোন জায়গায় গেছে, আর আগামী দিনে কী হতে পারে তার একটা আন্দাজ মানুষকে দিয়ে দেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ। উল্লেখ্য, মমতা এদিন দাবি করেন,  “ইনজেকশন দিল্লি লুকিয়ে রেখেছে। কোন রাজ্য কিনতে পারে না। কেন কেন্দ্রীয় সরকার দিচ্ছে না, তার পেছনে কোন না কোন কারণ তো নিশ্চয়ই আছে। আমি যদি বেঁচে থাকি তাহলে খুঁজে বের করবই।” 

আরো পড়ুন- ‘যোগ্য হলে টিকা নিন’, কোভ্যাক্সিনের দ্বিতীয় ডোজ নিয়েই আহ্বান নমোর

প্রসঙ্গত, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১ লক্ষ ২৬ হাজার ৭৮৯ জন৷ পাশাপাশি বাড়ল একদিনে মৃত্যুর সংখ্যাও৷ গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৬৮৫ জনের৷ এর আগে একদিনে করোনায় মৃতের সংখ্যা ছিল ৬৩০৷  এখনও পর্যন্ত দেশে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন মোট ১ কোটি ২৯ লক্ষ মানুষ৷ ব্রাজিল ও আমেরিকার পর সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছে ভারত৷ ভারতে রাজ্যগুলির মধ্যে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ দেখা দিয়েছে মহারাষ্ট্রে৷ মহারাষ্ট্রের পাশাপাশি পঞ্জাবেও বাড়তে শুরু করেছে আক্রান্তের সংখ্যা৷ জারি করা হয়েছে নাইট কারফিউ৷ এরই মধ্যে গতকাল ডোজ না মেলায় মহারাষ্ট্রে থমকে যায় টিকাকরণ কর্মসূচি৷ সাতারা এবং পানভেল জেলায় বন্ধ রয়েছে টেস্টিং৷ টিকার যোগান না থাকায় পুণেতে ১০০-র উপরে ভ্যাকসিন সেন্টার বন্ধ রয়েছে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *