কলকাতা: ষষ্ঠ দফায় চার জেলায় চলছে ভোট গ্রহণ পর্ব। এর মধ্যেই অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ কলকাতা হাইকর্টের প্রধান বিচারপতির পর্যবেক্ষণ৷ এদিন নির্বাচন কমিশনকে কার্যত তুলোধোনা করল কলকাতা হাইকোর্ট৷ কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ ছিল, করোনাকালে যাতে সমস্ত বিধি মেনে কাজ সম্পন্ন করা যায়। কিন্তু এবার নির্বাচন কমিশনের কাজের চূড়ান্ত অসন্তোষ প্রকাশ করল কলকাতা হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন- এক দেশ এক টিকা, দাম কেন ভিন্ন? টিকার বর্ধিত দামে ক্ষুব্ধ মমতা
এদিন নিজের পর্যবেক্ষণে প্রধান বিচারপতি বলেন, কমিশনের হাতে চূড়ান্ত ক্ষমতা থাকা সত্বেও সেই ক্ষমতার ব্যবহার করছে না তারা৷ এই সময় টিএন সেশনের কাজের দশ ভাগের এক ভাগ কাজ করে দেখাক কমিশন৷ একটা সার্কুলার দিয়ে জনগণের উপরে সবটা ছেড়ে দেওয়া হয়েছে৷ পুলিশ থেকে অফিসার, আপনাদের হাতে সবটাই আছে৷ তাও কোনও কাজ করছেন না৷ কুইক রেসপন্স টিম কেন ব্যবহার করা হচ্ছে না? সেই প্রশ্নও তোলেন তিনি৷ প্রধান বিচারপতি জানান, সার্কুলার নয়, পদক্ষেপ চাইছি কমিশনের কাছে৷ কমিশনের কাজে আদলত সন্তুষ্ট নয় বলেও জানান তিনি৷ প্রধান বিচারপতি আরও বলেন, রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি আদালতে না থাকায় আমরা অর্ডার দিতে পারছি না৷ প্রয়োজনে আমরাই টিএন সেশনের কাজ করব৷
এপ্রসঙ্গে বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য বলেন, নির্বাচন কমিশন যে পদক্ষেপ নেবে, আমরা সেটাই মেনে চলব৷ রাজ্যের শাসকদল নিজেদের দায়িত্ব পালন করেনি৷ বিগত ৩ মাস কোনও কোভিড মিটিং করা হয়নি৷ কোভিড বেডের সংখ্যা বাড়ানো হয়নি৷ তার উপর কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে অসহযোগিতা করে আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি করে ভোট করতে চেয়েছে তারা৷ অন্যদিকে তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় বলেন, আমরা এতদিন ধরে বলে আসছিলাম যে, নির্বাচন কমিশন অপদার্থ৷ সেই কথাই আজ হাইকোর্ট বলেছে৷ তিন দফার ভোট এক দফায় করতে বলা হয়েছিল৷ সে কথাও শোনা হয়নি৷ কোভিড রোধেও কোনও ব্যবস্থা নেয়নি কমিশন৷