কলকাতা: করোনার আতঙ্ককে ডেঙ্গি অনেক দিনই হল ছাপিয়ে চলে গিয়েছে বাংলায়। শেষ কয়েকদিনে যেভাবে আক্রান্তের খবর আসছে তাতে সাধারণ মানুষের যে ভয় ব্যাপক বৃদ্ধি পেয়েছে তা বলাই বাহুল্য। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত জানা গিয়েছিল, এই মুহূর্তে রাজ্যের বিভিন্ন হাসপাতালে ডেঙ্গি আক্রান্ত রোগী ভর্তির সংখ্যা প্রায় ৯০০। আক্রান্তদের মধ্যে রয়েছে শিশুরাও। এবার শেষ সাত দিনে যে পরিসংখ্যান উঠে এল ডেঙ্গির তাতে বঙ্গবাসীর কপালে আরও বড় ভাঁজ পড়বে। অনুমান করা হচ্ছে, আক্রান্তের নিরিখে ২০১৯ সালকেও ছাপিয়ে যাবে ২০২২ সালের বাংলা।
আরও পড়ুন- ‘সকালে দুটো রুটি, রাতে তা-ও জোটে না’, জেল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক শান্তিপ্রসাদ
তথ্য বলছে, শেষ ৭ দিনে বঙ্গে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ৭ হাজার ছুঁয়েছে। মোট সংক্রমণ প্রায় ৩১ হাজার! বাংলায় সবথেকে বেশি মানুষ ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছিল ২০১৯ সালে। এখন আশঙ্কা, আগামী সপ্তাহেই সেই রেকর্ড টপকে যাবে পশ্চিমবঙ্গ। কারণ ২০১৯ সালে রাজ্যে মোট ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৩১ হাজার ৭৪৩। আর ২০২২ সালে এখনই বঙ্গে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ৩০ হাজার ৭৭৩। সংক্রমণের নিরিখে করোনার মতো ডেঙ্গিতেও সবথেকে এগিয়ে উত্তর ২৪ পরগনা। সেখানে এখনও পর্যন্ত মোট আক্রান্ত ৫ হাজার ৯০১। গত ১ সপ্তাহে সবথেকে বেশি আক্রান্ত হয়েছে এই জেলাতেই, সেই সংখ্যা ১ হাজার ২৫৩। এদিকে, কলকাতায় মোট আক্রান্ত একটু কমে ৩ হাজার ৪০৬। এছাড়াও দার্জিলিং-সহ উত্তরবঙ্গের ছ’টি জেলায় ডেঙ্গুর প্রকোপ সবচেয়ে বেশি।
এদিকে এই সময়টাই জ্বর এবং সর্দি-কাশি হওয়ার। আর নির্দিষ্টভাবে এই বিষয়টিকেই ভয় পাচ্ছেন চিকিৎসকরা। কারণ, সাধারণ ভাইরাসঘটিত উপসর্গের মধ্যেই মিশে থাকছে ডেঙ্গির উপসর্গ। যা চিন্তা বাড়াচ্ছে বিশেষজ্ঞদের। এমনও হচ্ছে যে, ডেঙ্গি হলেও তা সহজে বোঝা যাচ্ছে না। অর্থাৎ উপসর্গহীন ডেঙ্গির দেখা মিলছে। তাই পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে, দু’তিন দিনের বেশি জ্বর থাকেলই যাতে ডাক্তার দেখিয়ে নেওয়া হয়। এই সময়ে কারোর জ্বর না হলেও জ্বর-জ্বর ভাব থাকছে। তাই অনেকেই বিষয়টি পাত্তা দিচ্ছেন না। এটা ভুল বলেই বলছেন সকলে।