কোভিডকালে সমস্যায় জর্জরিত ‘ডেলিভারি ওয়ার্কাররা’, রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ

কোভিডকালে সমস্যায় জর্জরিত ‘ডেলিভারি ওয়ার্কাররা’, রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ

কলকাতা: লকডাউনে বাড়িতে আছেন? কোনো রেস্টুরেন্টে যেতে পারছেন না? কিন্তু রেস্টুরেন্টের বানানো খাবার খেতে ইচ্ছা করছে? কী করবেন? বাড়িতে রান্না করার লোক নেই। কী করবেন? বাড়িতে অসুস্থ মানুষ, খাবার চাই, বন্ধুর জন্মদিন গিফট পাঠাতে হবে, কি করবেন? লকডাউনে শপিং করতে পারছেন না, চিন্তা কী? অনলাইন বাজার আছে তো, কিনলেন আপনার পছন্দের জিনিস আপনার কাছে ঠিক পৌঁছে যাবে। খাবার অর্ডার করার ২০-২৫ মিনিটে আপনার বাড়িতে খাবার পৌঁছে যাবে। বা ২৪ ঘন্টায় আপনার জিনিস আপনার কাছে। এই লকডাউনের মধ্যে আপনার জন্য রাস্তায় আছেন ডেলিভারি ওয়ার্কার। কেউ একাধিক অ্যাপের হয়ে কাজ করে অনেক গুলি কোম্পানির পোশাক পরে খাবার বা জিনিস বহন করে আপনার কাছে পৌঁছে যাচ্ছেন। রোদ, ঝড়, বৃষ্টি, রাত, কোনো কিছুই কোনো প্রতিবন্ধকতা নয়। কিন্তু সমস্যা অন্য জায়গায়।

অস্বাভাবিক জ্বালানি তেলের দামের ফলে এনাদের ইনকাম তলানিতে, তার পর পুলিশের হয়রানি, কেস দেওয়া আছেই। অস্বাভাবিক পেট্রোল ডিজেলের দাম ও পুলিশের হয়রানির প্রতিবাদে West Bengal Delivery Workers Union-এর ডাকে বিক্ষোভ কর্মসূচি করা হয়। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ৩টেয়, পার্ক সার্কাস সেভেন পয়েন্টে। এই কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন West Bengal Delivery Workers Union-এর সভাপতি ইন্দ্রজিৎ ঘোষ। এছাড়াও নেতৃত্ব শঙ্কর দুবে, ইমরান সেখ, সহ ৪৫ জন কর্মী। পেট্রোপন্যের দাম বৃদ্ধির ফলে এই সকলের কাজে সমস্যা তৈরি হচ্ছে, এদিকে কোম্পানি তাদের দেখছে না বলেই অভিযোগ। সেই প্রেক্ষিতেই এই পরিস্থিতিতে প্রতিবাদের পথ বেছে নিয়েছে তারা।

আরও পড়ুন- ‘ত্রিপুরায় ঘর ছাড়া বিরোধীরা, মহিলারা অত্যাচারিত, মানবাধিকার কমিশন চুপ কেন?’ 

কর্মীদের বক্তব্য, খাবার অর্ডার ডেলিভারি দিলে ওনারা পান ৩ কিমি পর্যন্ত ১৫ বা ২০ টাকা। আর তার বেশি হলে ৫ টাকা প্রতি কিমি। ১০ ঘন্টা অনলাইন থাকলেও ন্যুনতম ৬ টা ডেলিভারি করতে পারলে একটা ইনসেন্টিভ পান। সময় মত খাবার পৌঁছাতে না পারলে কপালে জোটে দুর্ভোগ। জিনিস পত্রের ক্ষেত্রেও প্রায় একই রকম, সেক্ষেত্রে জিনিসপত্রের পরিমাণেরর উপর মজুরি কিছুটা নির্ভর করে। কিন্তু এই কোভিড পরিস্থিতিতে তাদের বড়িতে বাড়িতে যেতে হচ্ছে, কোন বড়িতে কোভিড রোগী আছে, কোন বাড়িতে রোগীর জন্য খাবার যাচ্ছে, তা জানে না। ন্যুনতম সুরক্ষার জন্য কোম্পানি বা সরকার সাহায্য করছেন না বলেই দাবি করছে তারা। এদিকে, রাস্তায় পুলিশের হয়রানি তো আছেই। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *