রঘুনাথপুর: পুরুলিয়ার সভা থেকে বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে একহাত নিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়৷ কৃষি আইন থেকে কৃষক আন্দোলন বা বিজেপি’প ফ্লপ শো, একাধিক ইস্যুতে খোঁচা দিলেন তিনি৷
আরও পড়ুন- আত্মহত্যার চেষ্টা! তালিকার বিরোধিতায় বিজেপি দফতর যেন ‘যুদ্ধক্ষেত্র’
এদিন অভিষেক বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার একাধিকবার রাজ্য সরকারকে কৃষি কর্মন পুরস্কার দিয়েছে৷ অথচ এই কেন্দ্রীয় সরকারই এখানে এসে বলছে কিষান সম্মান নিধি চালু করেনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার৷ অভিষেকের প্রশ্ন, আপনি তো হরিয়ানা, পঞ্জাব, উত্তরপ্রদেশে কিষান সম্মান নিধি চালু করেছেন, তাহলে ১০ লক্ষ কৃষক আজ দিল্লির সিঙ্ঘু সীমান্তে কী করছে? তাঁরা রাস্তায় কেন? কারণ গায়ের জোড়ে কৃষি বিল পাস করানো হয়েছে৷ মোদীবাবু যেহেতু বলেছে, তাই মানুষের কাছে মাথা নত করা যাবে না৷ কিন্তু মানুষের স্বার্থে প্রয়োজন পড়লে হাজার বার সিদ্ধান্ত বদলাতে প্রস্তুত আমরা৷ কারণ মানুষের জন্য সরকার, সরকারের জন্য মানুষ নয়৷
তাঁর অভিযোগ, আম্পানে ১ হাজার কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে রাজ্যকে৷ অথচ প্রতি বছর ৭৫ হাজার কোটি টাকা রাজ্যের কাছ থেকে কেটে নিয়ে যায় কেন্দ্রের সরকার৷ পাঁচ বছরে সেটা হয় ৫ লক্ষ ২৫ হাজার কোটি টাকা৷ এই টাকা বাংলার টাকা৷ মানুষের পকেট থেকে টাকা কেটে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে৷ ৫০০ টাকা নিয়ে ১০ টাকা দিয়ে বলছে মোদীজি টাকা পাঠিয়েছে৷ কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, কেন্দ্রের টাকার কোনও প্রয়োজন নেই৷ ওঁরা আক্রমণ করে পা ভাঙতে পারে, কিন্তু ভাঙা পায়েই যুদ্ধ হবে৷ দিল্লির বুক থেকে বাংলার সম্মান ছিনিয়ে নিয়ে আসব আমরা৷ ভারতবর্ষের একমাত্র মহিলা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তাঁকে হারানোর জন্য দিল্লির তাবড় তাবড় নেতারা বাংলায় ডেইলি প্যাসেঞ্জারি করছে৷ অথচ লকডাউনে, করোনাকালে, আম্পানে কাউকে খুঁজে পাওয়া যায়নি৷
আরও পড়ুন- ‘বিজেপিকে ১০ গোলে হারাতে না পারলে রাজনীতির আঙিনায় পা দেব না’: অভিষেক
অভিষেকের দাবি, বিজেপি’র সভায় কোনও লোক হয় না৷ আজ যোগী আদিত্যনাথের সভায় যা লোক হয়েছে, তার চেয়ে বেশি লোক হয় চায়ের দোকানে৷ উত্তরপ্রদেশ থেকে সভা করানোর জন্য নিয়ে আসা হয়েছে তাঁকে৷ অথচ মাঠ ফাঁকা৷ তাঁর কথায়, ‘‘বহিরাগতদের নেই ঠাঁই, বাংলা নিজের মেয়েকে চায়৷ যতই আক্রমণ হোক, আমরা বশ্যতা স্বীকার করব না৷ ’’ অভিষেক বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিনা পয়সায় যে খাদ্য, শিক্ষা, স্বাস্থ্য পরিষেবা দিচ্ছে, বিজেপি এলে তা কিছুই থাকবে না৷ ভাওতা না প্রতিশ্রুতি পালনকারী সরকার, আপনারা কাকে চান, সেই সিদ্ধান্ত নেবে মানুষ৷