আত্মহত্যার চেষ্টা! তালিকার বিরোধিতায় বিজেপি দফতর যেন ‘যুদ্ধক্ষেত্র’

আত্মহত্যার চেষ্টা! তালিকার বিরোধিতায় বিজেপি দফতর যেন ‘যুদ্ধক্ষেত্র’

e8654032abb12bf6356be60e5fe62eb5

কলকাতা: পূর্ণাঙ্গ প্রার্থী তালিকা বের করেনি ভারতীয় জনতা পার্টি শিবির, তবে আংশিক প্রার্থী তালিকা বের করার পরই যে পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে তাতে স্বাভাবিকভাবে ব্যাপক চাপে পড়ে গিয়েছে গেরুয়া বাহিনী। গতকাল থেকে ব্যাপক বিক্ষোভ হচ্ছে হেস্টিংসের বিজেপির দফতরে। আজ সেই বিক্ষোভ যেন চরম আকার ধারণ করেছে। প্রার্থী তালিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করতে গায়ে আগুন লাগিয়ে আত্মহত্যা করার চেষ্টা করেন প্রতিবাদী বিজেপি কর্মীরা! সব মিলিয়ে ব্যাপক উৎকণ্ঠা ছড়িয়ে পড়েছে চারিদিকে। 

গতকাল মূলত পাঁচলা এবং উদয়নারায়নপুরের প্রার্থী বদল করা নিয়ে বিক্ষোভ শুরু হয় সেখানে। পরবর্তী ক্ষেত্রে রায়দিঘির প্রার্থী বদল করা নিয়েও আওয়াজ উঠতে থাকে। এর পাশাপাশি ডোমজুড়ে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, সিঙ্গুরে রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্যকে নিয়েও বিক্ষোভ প্রদর্শিত হয়। পরবর্তী ক্ষেত্রে মুকুল রায় থেকে শুরু করে অর্জুন সিং, সকলেই দলীয় কর্মীদের বিক্ষোভের মুখে পড়েন। আজ সেই বিক্ষোভ অন্য মাত্রা ধারণ করেছে যখন গায়ে আগুন লাগিয়ে আত্মহত্যা করার চেষ্টা করা হচ্ছে। আংশিক প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করার পরে পরিস্থিতি এমন অপ্রীতিকর হয়ে উঠবে তা হয়তো ঘুনাক্ষরেও ভাবেনি বিজেপির নেতৃত্ব। সেই কারণে গতকাল নিজের দিল্লি ফেরত যাওয়ার কর্মসূচি বাতিল করে কলকাতায় রাতভর থেকে যান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বাংলার বিজেপি নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। সূত্রের খবর, এই বিক্ষোভ নিয়েই সেই বৈঠকে আলোচনা হয়েছে।

আরও পড়ুন-  ‘TMC নেতা BJP-র প্রার্থী মানছি না’! আরও প্রকট বিজেপির গৃহযুদ্ধ

গতকাল দুপুর থেকে একাধিকবার পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জড়ান বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। ব্যারিকেড করা হলে সেটি সরানোর চেষ্টা করা হয় তাদের তরফে। সেই প্রেক্ষিতেই বাঁধে আরো বড় গন্ডগোল। তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ আগেই জানিয়েছেন, আদি বিজেপি এবং তৎকাল বিজেপির একটা লড়াই চলছিল তাই এই ঘটনা একেবারেই প্রত্যাশিত। আর এই পরিস্থিতির মধ্যে মাতব্বরি করতে আসছে পরিযায়ী বিজেপি। বিজেপির কর্মী-সমর্থকদের থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের সমর্থকদের নীতি সম্পূর্ণ আলাদা, কিন্তু এতদিন যারা তৃণমূল কংগ্রেসে ছিল তারা এখন ব্যক্তিগত স্বার্থ সিদ্ধির জন্য বিজেপির মঞ্চে গিয়ে বসে রয়েছে। এদিকে যারা এতদিন ধরে বিজেপি দলটি করল, তাদের গুরুত্ব না দিয়ে তৃণমূল থেকে যাওয়া সেই সব নেতাদের গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে যাদের বিরুদ্ধে একসময় বিজেপির নেতারা আওয়াজ তুলতেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *