কলকাতা: কলকাতার বুকে ভুয়ো ভ্যাকসিন কেন্দ্র নিয়ে তোলপাড় গোটা রাজ্য৷ এর নেপথ্যে রয়েছে দেবাঞ্জন দেব নামে ২৮ বছরের এক যুবকের চক্রান্ত৷ যিনি আইএএস অফিসারের ভেক ধরে গোটা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছিলেন৷ দেবাঞ্জন দেব সম্পর্কে উঠে এল আরও কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য৷ জানা গিয়েছে, শুধু ভুয়ো কাগজ নিয়ে আইএএস অফিসারের তকমাই লাগাননি, কলকাতা পুরসভায় চাকরি দেওয়ার নাম করে বেশ কিছু ছেলে-মেয়ের পরীক্ষাও নিয়েছিলেন তিনি৷ তাঁদের কাছ থেকে নিয়েছিলেন গুরুত্বপূর্ণ নথি৷
আরও পড়ুন- তৃতীয় ঢেউয়ের চোখ রাঙানিতে অন্ধকারে কুমোরটুলি, আশার আলো মায়ের বিদেশ যাত্রা
পুলিশের কাছে এই বিষয়ে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে৷ জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার ভুয়ো ভ্যাকসিন কাণ্ডে দেবাঞ্জনের পর্দা ফাঁস হতেই থানায় তাঁর নাম একাধিক অভিযোগ জমা পড়ে৷ কলকাতা পুরসভায় চাকরি দেওয়ার নাম করে তাঁদের লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হয়েছিল বলে পুলিশকে জানায় কিছু যুবক-যুবতী৷ দেবাঞ্জনের জালে পা দেওয়া এক যুবক বলেন, আমরা ভেবেছিলাম পরীক্ষা দিয়ে সরকারি চাকরি পাব৷ কিন্তু সেই পরীক্ষার ফল আজও প্রকাশিত হয়নি৷
কলকাতা পুরসভার যুগ্ম কমিশনার পরিচিয়ে এক ব্যক্তি কলকাতায় ঘুরছেন৷ গত ১৩ জুন এ কথা জানতে পারেন কলকাতা পুরসভার কমিশনার বিনোদ কুমার। বিষয়টি পুলিশকে জানানো হলেও, কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি বলেই অভিযোগ৷ মঙ্গলবার দেবাঞ্জনের পর্দা ফাঁস হয়৷ দেবাঞ্জনকে জেরা করে পুলিশ জানতে পেরেছে প্রথমে স্বাস্থ্য ভবন থেকে টিকা জোগার করার চেষ্টা করেছিল সে৷ ব্যর্থ হলে বাগড়ি মার্কেট থেকে টিকা কেনেন৷
আরও পড়ুন- লোকাল ট্রেন চালানোর দাবিতে ধুন্ধুমার-কাণ্ড মল্লিকপুরে, অবরোধ একাধিক স্টেশন
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে ধৃত দেবাঞ্জন দেব জেনেটিক্সে এমএসসি৷ কলকাতার প্রথম শ্রেণির ক্লাবে ক্রিকেটও খেলেছেন তিনি৷ তাঁর বাবা ডেপুটি এক্সাইস কালেক্টর পদে কর্মরত ছিলেন৷ ২০১১ সালে অসবর নেন৷ দেবাঞ্জনেরও ইচ্ছে ছিল বাবার মতো আইএএস হওয়ার৷ কিন্তু পরীক্ষায় সফল না হওয়ায় বেছে নেন অন্ধকার জীবনের পথ৷ বাবার কাছ থেকে গাড়ি নিয়ে সেখানে নীল বাতি ও বিভিন্ন স্টিকার লাগান৷ নীল বাতি লাগানো ওই গাড়িতেই জাল নথি নিয়ে ঘুরতেন তিনি৷ নিজেকে উচ্চ পদস্থ সরকারি আধিকারিক পরিচয় দিতে একের পর এক জাল নথি তৈরি করেছিলেন দেবাঞ্জন৷ এমনকী কসবার রাজডাঙায় পুরসভার নামে একটি অফিসও খোলেন৷