মামলার রায় লেখার লোক নেই! কর্মবিরতির বড় প্রভাব হাইকোর্টে

কলকাতা: ডিএ'র দাবিতে সোমবার ও মঙ্গলবার কর্মবিরতির সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন সরকারি কর্মীরা। সেইমতো আজও তাদের বিক্ষোভ চলছে। তার বড়সড় প্রভাব পড়েছে কলকাতা হাইকোর্টে। এদিন এই কর্মবিরতির জেরে প্রধান বিচারপতির এজলাসে মামলার রায় লেখার জন্য নেই কোনও কোর্ট অফিসার। তাই প্রধান বিচারপতির পাশে রাখা ফাইল নিজেই নিয়ে বিচারপ্রক্রিয়া চালাচ্ছে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। জানা গিয়েছে, এই অবস্থার ফলে মঙ্গলবার সীমিত সংখ্যক মামলার শুনানি করবে ডিভিশন বেঞ্চ।
আরও পড়ুন- বাজেট: যুবসমাজের জন্য 'ভবিষ্যৎ ক্রেডিট কার্ড', কর্মসংস্থান নিয়ে বড় ঘোষণা
কলকাতা হাইকোর্ট কর্মচারী সমিতির ডাকা কর্মবিরতির জন্য শুধু এই সমস্যা হচ্ছে না। এও জানা গিয়েছে, কোনও স্টেনো না থাকায় চেম্বার থেকে পিএ-কে ডেকে রায় লিপিবদ্ধ করাচ্ছে ডিভিশন বেঞ্চ। অন্যদিকে বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্যের এজলাসেও নেই কোনও কোট অফিসার বা পিওন। শুধুমাত্র যে মামলাগুলি জরুরি সেই মামলাগুলির শুনানি গ্রহণ করছেন বিচারপতি। আর নিজেই মামলার রায় লিপিবদ্ধ করছেন। আগেই রাজ্য সরকার জানিয়েছিল যে এই কর্মবিরতির তারা বিরোধিতা করছে। কিন্তু যৌথ মঞ্চ স্পষ্ট করেছিল যে, কর্মবিরতি পালনের ফলে সরকার কর্মীদের বিরুদ্ধে যদি কোনও পদক্ষেপ করে তাহলে সরকারি কর্মীরাও আইনি পথে হাঁটবেন।
চাকরিজীবীদের বিভিন্ন সংগঠন আগেই হুঁশিয়ারি দিয়েছিল যে বকেয়া ডিএ না দেওয়া হলে তারা সরকারি কাজে অসহযোগিতা করা শুরু করবে। ৩ শতাংশ ডিএ ঘোষণার পর বিষয়টি যেন আরও জটিল হয়েছে। অনেকেই মনে করছেন যে তাদের সঙ্গে ভিক্ষাসুলভ আচরণ করছে সরকার। এই অবস্থায় দাঁড়িয়েই কর্মবিরতির ডাক দিয়েছে তারা।