কলকাতা: লক্ষীর ভাণ্ডার নিয়ে মাতোয়ারা রাজ্য৷ কোটি কোটি টাকা দেওয়া হচ্ছে এই প্রকল্পে৷ সরকারি প্রকল্পে যে ভাবে টাকা দেওয়া হচ্ছে, সেই ভাবে রাজ্য সরকারের কর্মীদের বকেয়া ডিএ দেওয়া হচ্ছে না৷ ডিএ মামলায় হাইকোর্টে প্রশ্নের মুখে পড়েছে রাজ্য৷
আরও পড়ুন- একী কাণ্ড! পার্টি অফিসে বসে আধার কার্ড তৈরির নামে চলছে ‘মোটা টাকা’ আদায়
এদিন রাজ্য সরকারের কাছে বিচারপতি সৌমেন সেন ডিভিশন বেঞ্চ জানতে চায়, কেন্দ্রের হারে ডিএ দেওয়া যাচ্ছে না কেন? ডিএ দেওয়ার ক্ষেত্রে অল ইন্ডিয়া কনজিউমার প্রাইস ইনডেক্স(AICPI) মানা সম্ভব হচ্ছে না কেনো?আগে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রায় সমহারে ডিএ পেতেন রাজ্য সরকারের কর্মচারীরা৷ এখন তা সম্ভব হচ্ছে না কেন?”
এর জবাবে অ্যাডভোকেট জেনারেল জানান, “ডিএ সরকারি কর্মচারীদের আইনসঙ্গত অধিকার নয়।” তবে ডিএ মামলায় ১০ সেপ্টেম্বর মধ্যে রাজ্য সরকারকে লিখিত ভাবে বক্তব্য পেশ করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত৷ ১৪ ও ১৫ সেপ্টেম্বর টানা ২ দিন ডিএ মামলার শুনানি চলবে হাইকোর্ট। এই মামলায় বিচারপতি সৌমেন সেন ও বিচারপতি হিরণময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চের বক্তব্য, ‘‘যা দেবার তা রাজ্যকেই দিতে হবে।’’ যদিও রাজ্য মূল্য বৃদ্ধির নিরিখে ডিএ বাড়ানোর ক্ষেত্রে সহমত নয়। এর ভিত্তিতে ডিভিশন বেঞ্চের পাল্টা প্রশ্ন, মূল্য বৃদ্ধির প্রেক্ষিতে রাজ্যকে তো কিছু দিতেই হবে।
আরও পড়ুন- রাজনীতিতে ফিরছেন শোভন? বৈশাখীর কথায় ইঙ্গিত তেমনই
এদিকে মামলাকারীদের আইনজীবী আমজাদ আলি জানান, মামলায় পঞ্চম পে-কমিশন নিয়ে বিচার চলছে। অথচ ইতিমধ্যেই ষষ্ঠ পে কমিশন লাগু হয়ে গিয়েছে। ফলে এই বিষয়টিও দেখতে হবে আদালতকে। কোটি কোটি টাকা সরকারি কর্মচারীদের বকেয়া রয়েছে সরকারের কাছে। রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত পাল্টা বলেন, রাজ্যের ক্ষমতা অনুযায়ী টাকা দিচ্ছে৷ আমাদের হিসেব অনুযায়ী ধাপে ধাপে ১২৫% ডিএ দেওয়া হয়েছে। বাকিটা নিয়ে আলোচনা চলছে। রাজ্য আবেদন করেছে। সেই আবেদন অনুযায়ী, আদালত কি পদক্ষেপ নেয়, তারপরে বাকিটা নিয়ে আলোচনা চলতে পারে।