কলকাতা: তিনি ফুরিয়ে যাননি, রাজনীতিকে তাঁর অনেক কিছুই দেওয়ার রয়েছে। জল্পনা বাড়িয়ে দিয়ে এমনই মন্তব্য করতে শোনা গেল প্রাক্তন বিজেপি নেতা শোভন চট্টোপাধ্যায়ের বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কে। এক সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাতকার দিয়ে তিনি স্পষ্ট জানালেন যে, সুযোগ পেলে আবার রাজনীতিতে ফিরবেন তাঁরা। যদিও কোন দলে, তা স্পষ্ট নয় এখনও।
আরও পড়ুন- চন্দনার বিরহে ‘দেবদাস’ কৃষ্ণ! ফের হাসপাতালে ভর্তি হলেন BJP বিধায়কের দ্বিতীয় স্বামী
বাংলার বিধানসভা নির্বাচনের আগে অনেক কিছু দেখেছে রাজ্যবাসী। তোলপাড় হয়েছে তাঁদের দুজনকে নিয়ে। বিজেপি শিবিরে যোগ দেওয়া থেকে শুরু করে দীর্ঘদিন প্রচারে না থাকা। আবার প্রচার শুরু করার পর চূড়ান্ত পর্যায়ে টিকিট না পেয়ে দল ছাড়া, বাকি ছিল না কিছুই। তারপর নারদা মামলায় গ্রেফতার হলেন শোভন, সেই সময় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশংসাও করতে শোনা গিয়েছিল বৈশাখীকে। তারপর কেটে গিয়েছে অনেকগুলো দিন। এখন তাঁরা রাজনীতি থেকে বাইরে। কিন্তু রাজনৈতিক সন্ন্যাস নেওয়ার কথা এখনও ভাবছেন না কেউ। বৈশাখী স্পষ্ট জানাচ্ছেন যে, শোভন চট্টোপাধ্যায়ের এখনও অনেক কিছু দেওয়ার আছে রাজনীতিকে। তিনি বলছেন, রাজনৈতিকভাবে সচেতন মানুষ হিসেবে এখনও রাজনীতিতে তাঁর ভূমিকা শেষ হয়নি। তবে বর্তমানে রাজনীতি ধরনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে না পেরে যখন তিনি শোভন চট্টোপাধ্যায়কে দেখেছিলেন বেরিয়ে আসতে, তখন সাময়িকভাবে খারাপ লেগেছিল তাঁর, কিন্তু পুরোপুরি রাজনীতি থেকে বেরতে চান না তাঁরা।
আরও পড়ুন- মাস্ক ছাড়া রাস্তায়? আজ থেকে শহরজুড়ে কড়া অভিযান
প্রসঙ্গত, নারদা মামলা নিয়ে আবার সক্রিয় হয়েছে ইডি এবং তলব করা হয়েছে শোভন চট্টোপাধ্যায়কে। ইতিমধ্যেই রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায় এবং বিধায়ক মদন মিত্রের বিরুদ্ধে সমন জারি করা হয়েছে। অন্যদিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠানো হচ্ছে তাঁকে। আগামী ১৬ নভেম্বর রাজ্যের মন্ত্রীদের জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায়। এর পাশাপাশি তদন্তের স্বার্থে তারা জিজ্ঞাসাবাদ করতে চাইছে শুভেন্দু অধিকারী এবং মুকুল রায়কেও। তাদেরকেও সমন পাঠানো হয়েছে বলে খবর। নারদ মামলায় আগেই সিবিআই গ্রেফতার করেছিল রাজ্যের দুই মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম এবং সুব্রত মুখোপাধ্যায় সহ বিধায়ক মদন মিত্র, প্রাক্তন বিজেপি নেতা শোভন চট্টোপাধ্যায়কে। এদিকে গ্রেফতার করা হয়েছিল তৎকালীন এসপি এস এম এইচ মির্জাকে। এদের সকলের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা পড়েছে সিবিআইয়ের তরফে।