কলকাতা: ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় আদালতে চাপের মুখে রাজ্য সরকার৷ জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্টের ভিত্তিতে প্রতিটি অভিযোগের জন্য এফআইআর দায়ের করতে হবে৷ এমনই নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট৷ অন্যদিকে, চার সপ্তাহের মধ্যে ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত৷
এদিন মামলার শুরুতেই জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের মুখ বন্ধ করা খাম খোলেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির বৃহত্তর বেঞ্চ৷ সেই সঙ্গে যাদবপুরে ভোট পরবর্তী হিংসার তদন্তে গিয়ে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সদস্যদের আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করে হাইকোর্ট৷ আগামী ১৩ জুলাই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে৷ এই মামলায় রাজ্য সরকার কী কী পদক্ষেপ করেছে, তা জানাতে হবে৷
• কিশোর দত্ত বলেন, জাভেদ শামিম আইজি আইন শৃঙ্খলা
• কমিটির কাছে কে রিপোর্ট পেশ করেছিল তাঁর নাম বলুন আমরা ব্যবস্থা নেব।
• আহতদের রেশনের ব্যবস্থা করতে হবে৷
• কিছু এলাকার জেলাশাসক এবং পুলিশ সুপারের বিরুদ্ধে শোকজের নোটিস জারি করতে হবে। তাঁরা কেন হিংসার অভিযোগ নেয়নি তা জানতে চাওয়া হবে।
• ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি বলেন, অভিজিৎ সরকারের দ্বিতীয়বার ময়না তদন্ত করতে হবে।
• আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে বলেও নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট।
• জাতীয় মানবাধিকার কমিশন যে সব অভিযোগ জানিয়েছে, তার ভিত্তিতে পুলিশকে মামলা রুজু করতে হবে।
• যাদবপুর থানা এলাকার দায়িত্বপূর্ণ আধিকারিককে অভিযোগ জানিয়ে কোনও সুরাহা হয়নি৷ তার বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা নিয়েছেন? রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্তকে প্রশ্ন প্রধান করেন বিচারপতি রাজেশ বিন্দাল৷
আরও পড়ুন- নারদে অভিযুক্ত শুভেন্দুর সঙ্গে কী ভাবে বৈঠক? তুষার মেহতার অপসারণ চেয়ে মোদীকে চিঠি তৃণমূলের
আরও পড়ুন- সুখবর! বাংলায় আসছে পদ্মার ইলিশ