দেবময় ঘোষ: সেপ্টেম্বর থেকে পশ্চিমবঙ্গের বাজারগুলিতে পাওয়া যেতে পারে পদ্মার ইলিশ। অন্তত, এমনই আশা করছেন আমদানিকারী মাছ ব্যবসায়ীরা। আজকাল এই রাজ্যের বাজারগুলিতে ইলিশের দরাজ উপস্থিতি নেই। বাস্তব তথ্য এই যে, ঘূর্ণিঝড় আমফান এবং তার পরে যশের তাণ্ডবে রাজ্যের বিভিন্ন এলাকার ক্ষয়ক্ষতি কম হয়নি। আরও যা হয়েছে তা হল, রাজ্যের নদীগুলির থেকে কিছু সময়ের জন্য মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে মাছের রাজা ইলিশ। বাজারে যা আছে তার বেশিরভাগই এই বছরের ইলিশ নয়। গত বছরের মাছ। গুজরাট, মহারাষ্ট্র থেকে আনা হয়েছিল। কিছু মাছ আছে মায়ানমারের। হিমঘরে সুরক্ষিত ছিল। যা এখন বাঙালির পাতে উঠেছে। এই পরিস্থিতিতে পদ্মার ইলিশের জন্য প্রতীক্ষার প্রহর গুনছেন অনেকে।
যদিও রাজ্যের বাজারে নতুন ইলিশের অকাল মিটবে শ্রীঘ্রই। মাছ ব্যবসায়ীদের অনুমান, এখন ভরা কোটাল চলছে। তবে আগামী ২-৩ সপ্তাহের মধ্যেই নদীতে হু-হু করে ইলিশ ঢুকবে। এটা আষাঢ় মাসের মাঝামাঝি সময়। চলতি মাসের শেষে বা শ্রাবণ মাসের শুরুতে ইলিশ আসবেই। ভাদ্র মাসেও পাওয়া যাবে বলে অনুমান করছেন ব্যবসায়ীরা। তবে এই পরিস্থিতি নতুন নয়। আগেও এই রকম পরিস্থিতির মুখে পড়তে হয়েছে।
কিন্তু, বাংলাদেশের বাজারে কী পর্যাপ্ত ইলিশ আছে? যদি সেখানেও না থাকে তবে এখানে পাওয়া যাবে কী? বঙ্গের আমদানিকারী ব্যবসায়ী সংগঠন ‘ফিস ইমপোর্টার এসওসিয়েশন’ এর সভাপতি অতুল চন্দ্র দাস বলছেন, “ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব বাংলাদেশেও ছিল মারাত্মক। সেখানে পরিস্থিতি কিছু ব্যতিক্রম হবে বলে আশা করি না। পদ্মা, মেঘনায় কিছু ইলিশ আছে শুনেছি।”
অতুলবাবুর কথায়, “বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা ব্যবসায় মুনাফার কারণেই ভারতে আবার ইলিশ বিক্রি করতে শুরু করেছে। মাঝে বেশ কিছু সময় বন্ধ ছিল। তবে ২০১৯ সাল থেকে আবার চালু হয়েছে।” তিনি বলেন, “২০১৯ সালে ৫০০ মেট্রিক টন পদ্মার ইলিশ পাওয়া গিয়েছিল। ২০২০ সালে পাওয়া যায় ১৯৫০ মেট্রিক টন। এ বছর আমরা আশা করছি ৫ হাজার মেট্রিক টন মাছ পাব।” বাংলাদেশের বাজারে ৭০০ গ্রাম থেকে ১ কেজির ইলিশের দর প্রায় ১০ মার্কিন ডলার দিয়ে কেনেন পশ্চিমবঙ্গের ব্যবসায়ীরা। এক কেজির বেশি দর হলে তা দাম পরে ১২ ডলার। দেড় কেজির বেশি ওজন হলে তা ১৬ ডলার পর্যন্ত দাম হতে পারে।