কলকাতা: হাতে আর মাত্র কয়েক দিন বাকি৷ পুজোর আগে চলছে শেষ মুহূর্তের কেনাকাটা৷ প্রতি সন্ধ্যায় হাতিবাগান, নিউ মর্কেট এবং গরিয়াহাট চত্বরে উপচে পড়েছে উৎসাহী মানুষের ভিড়৷ যা দেখে সিঁদুরে মেঘ দেখছে পুজো কমিটির কর্তারা৷ মণ্ডপে বারবার ফিজিক্যাল ডিস্টেন্সিং বজায় রাখার জন্য পুজো কমিটিগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷ কিন্তু প্রতিবারের মতো এবারও যদি একইভাবে ভিড় উপচে পড়ে, তাহলে কী ভাবে সামাল দেওয়া হবে, সেই চিন্তায় ঘুম উড়েছে পুজো কমিটির সদস্যদের৷
আরও পড়ুন- ডিসেম্বরের আগে চালু হবে না দক্ষিণেশ্বর পর্যন্ত মেট্রো, বললেন জিএম
মঙ্গলবার পুলিশ আধিকারিকদের কাছে এই বিষয়ে উদ্বেগও প্রকাশ করেন পুজো কমিটিগুলি৷ এর পরেই নতুন করে পরিকল্পনা করা হয়৷ এর মধ্যে পথচারীদের জন্য রাস্তা প্রশস্ত রাখার পাশাপাশি প্যান্ডেলে ঢোকার ক্ষেত্রে কড়া বন্দোবস্ত রাখার কথা বলা হয়েছে৷ নিউ আলিপুরের সুরুচি সঙ্ঘের সেক্রেটারি কিংশুক মিত্র বলেন, ‘‘যে গাইডলাইন আমাদের ছকে দেওয়া হয়েছে আমরা তা সম্পূর্ণ ভাবে তা মেনে চলছি৷ তবে ভিড় কেমন হবে সেটাই এখন বড় কথা৷ কখন কত সংখ্যক মানুষ মণ্ডপে আসবে, সে বিষয়ে আমরা কোনও অনুমান করতে পারি না৷ আমরা এটুকু আশা করব এবং প্রার্থনা করব, মানুষ যেন নিজে থেকে সচেতন থাকে৷ তাঁরা যেন ভিড় এড়িয়ে চলেন৷ তা যতই তালিকায় থাকা প্যান্ডেল বাদ হয়ে যাক না কেন৷’’
আরও পড়ুন- বাবুলের বিরুদ্ধে মহুয়ার FIR খারিজ হাইকোর্টে, ‘সত্যের জয়’ বললেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী
গত বছর প্রতিদিন ৫ লক্ষ দর্শনার্থীর ভিড় হয়েছিল প্যান্ডেলে৷ সাতদিনে লোক হয়েছিল ৩৫ লক্ষ৷ এবার দশ দিনে এর অর্ধেক মানুষও যদি আসেন, তার অর্থ এক দিনে সামলাতে হবে ১.৭ লক্ষ মানুষের ভিড়৷ এর জন্য প্রয়োজন হবে ২৫০ জন ভলেন্টিয়ারের৷ হাতিবাগান সার্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটির সেক্রেটারি শাশ্বত বোস বলেন, হাতিবাগানে যে পরিমাণ মানুষ প্রতিদিন কেনাকাটা করছেন, তা দেখেই কিছুটা আতঙ্কিত তিনি৷ তাঁর কথায়, ‘‘পুজোর কেনাকাটাই কিছুটা ইঙ্গিত দিচ্ছে৷ যে পরিমাণ লোক কেনাকাটা করছে, সম পরিমাণ মানুষ যদি প্যান্ডেল পরিক্রমায় বেরয়, তাহলে প্রবল সমস্যার সৃষ্টি হবে৷’’