ভোটের মুখে মুর্শিদাবাদে সংযুক্ত মোর্চায় ফাটল, কংগ্রেসের বিরুদ্ধে প্রার্থী ঘোষণা বামেদের

ভোটের মুখে মুর্শিদাবাদে সংযুক্ত মোর্চায় ফাটল, কংগ্রেসের বিরুদ্ধে প্রার্থী ঘোষণা বামেদের

মুর্শিদাবাদ:  আসন রফা নিয়ে জট কাটিয়ে জোটবদ্ধ হয়েছিল সংযুক্ত মোর্চা৷ সমঝোতার ভিত্তিতেই আসন বণ্টন করেছিল বাম-কংগ্রেস ও আব্বাসের আইএসএফ৷ কিন্তু ভোট শুরুর মাত্র পাঁচ দিন আগে ফাটল ধরল সংযুক্ত মোর্চার বাম-কংগ্রেস জোটে৷ মুর্শিদাবাদের নওদা বিধানসভা কেন্দ্রে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে প্রার্থী ঘোষণা করল সিপিএম৷ যদিও বিষয়টি অস্বীকার করেছে কংগ্রেস৷ অন্যদিকে, এই অভিযোগে আমল দিতে নারাজ মুর্শিদাবাদ জেলা সিপিএম৷ 

আরও পড়ুন-  মীনাক্ষীর সমর্থনে লেখা দেওয়ালে কালি! তোলপাড় নন্দীগ্রাম

জানা গিয়েছে, মুর্শিদাবাদের নওদা কেন্দ্রে সংযুক্ত মোর্চা সমর্থিত কংগ্রেসের প্রার্থীকে না-পসন্দ স্থানীয় সিপিএম নেতৃত্বের৷ তাই তাঁর বিরুদ্ধে প্রার্থী ঘোষণা করে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছেন সিপিএমের জেলা কমিটির দুই সদস্য, গোরাচাঁদ বোস এবং শমীক মণ্ডল। প্রসঙ্গত, এই কেন্দ্রে সংযুক্ত মোর্চা সমর্থিত কংগ্রেসের প্রার্থী মোশারফ হোসেন৷ তিনি আবার মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদের সভাধিপতি৷ মোশারফ আগে ছিলেন তৃণমূলে৷ কিন্তু দল থেকে বহিষ্কৃত হওয়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তিনি কংগ্রেসের হাত ধরেন৷ আর হাত ধরতেই নওদা কেন্দ্রে টিকিট দেওয়া হয় তাঁকে৷ এতেই ক্ষুব্ধ স্থানীয় বাম নেতৃত্ব৷ 

মোশারফের অতীত বিচার করেই তাঁকে প্রার্থী হিসাবে মেনে নিতে পারছেন না স্থানীয় বাম নেতারা৷ মুর্শিদাবাদ জেলা কমিটির সিপিএমের সদস্য শমীক মণ্ডল বলেন, ‘‘২০১৮ সালে পঞ্চায়েত ভোটে নওদায় ভোট লুঠ থেকে মনোনয়নে বাধা দেওয়া, কাউন্টিংসের সময় গন্ডোগোল সব কিছুই করেছিল ওরা৷ শুধু তাই নয়, জবকার্ডের টাকাও লুঠ করা হয়েছে৷ গণতন্ত্রকেই শেষ করে দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে৷ সেই জেলা পরিষদের সভাপতিকে সংযুক্ত মোর্চার প্রার্থী করার বিষয়টা আমরা মেনে নিতে পারছি না৷ আমাদের রাজনৈতিক মত আলাদা৷’’

আরও পড়ুন- ভোট বাংলায় বাড়ছে হিংসা! আজ ফের রাজ্যে আসছে কমিশনের ফুল বেঞ্চ

এই ক্ষোভের জেরে সাংবাদিক বৈঠক করে প্রার্থী ঘোষণা করে দেন স্থানীয় বাম নেতৃত্ব৷ এমনকী এলাকার মানুষের স্বার্থে পৃথক ইস্তেহারও ঘোষণা করেন তাঁরা৷ তাঁদের প্রার্থী জেলা কমিটির সদস্য তথা শিক্ষক শমীক মণ্ডল৷ তবে এত কিছুর পরেও কোনও হেলদোল নেই মোশারফ হোসেনের৷ তাঁর বক্তব্য, ‘‘এটা সামগ্রিকভাবে সিপিএম নেতৃত্বের সিদ্ধান্ত নয়৷ এটা স্থানীয় নেতাদের একাংশের অভিমত৷ এই কথার কোনও গুরুত্ব নেই৷’’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

fifteen − one =