নন্দীগ্রাম: বছর দশেক আগে এই কেন্দ্রেই তৈরি হয়েছিল ৩৪ বছরের বাম সাম্রাজ্য ধ্বংসের বীজ। জমি আন্দোলনের এতগুলো বছর পর ফের এক বিধানসভা নির্বাচনে শিরোনামে উঠে এসেছে নন্দীগ্রাম। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে নন্দীগ্রামে ভোটে লড়ছেন সংযুক্ত মোর্চা সমর্থিত বাম প্রার্থী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। এবার তাঁকে ঘিরেই আন্দোলনের মাটিতে তৈরি হল নতুন বিতর্ক।
মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়ের সমর্থনে লেখা দেওয়াল কালি দিয়ে মুছে দিয়েছে বিরোধীরা, এদিন এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ উঠল বাম সংগঠনের তরফে। জানা গেছে ঘটনাটি ঘটেছে নন্দীগ্রামের সামসাবাদ অঞ্চলে। এদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় বামপন্থী দলগুলির প্রচারক একটি পেজ থেকে ঘটনার কথা সামনে আনা হয়। এই ধরণের ঘটনার জন্য যে আদতে বিজেপি আর তৃণমূলকেই দায়ী করছে বাম শিবির, পোস্টে উল্লেখ করা হয় সে কথাও।
বস্তুত, এদিন বামেদের তরফে ফেসবুকে শেয়ার করা হয় দুটি ছবি, যাতে দেখা গেছে মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়ের সমর্থনে লেখা একটি বড়সড় দেওয়ালে প্রার্থীর নাম ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্যে কালি লেপে দেওয়া হয়েছে। দেওয়াল লিখনের কোনো বক্তব্যই আর স্পষ্ট নয়। এই ধরণের ঘটনার তীব্র নিন্দা করা হয়েছে দলের সোশ্যাল মিডিয়া পেজের তরফে।
আজকাল বিজেপি আর তৃণমূল কংগ্রেসকে একযোগে “বিজেমূল” বলে কটাক্ষ করছে বাম শিবির। এদিন সেই শব্দবন্ধকে হাতিয়ার করেই তীব্র সমালোচনায় সামিল হয়েছেন তাঁরা। নন্দীগ্রামে মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়ের প্রার্থীপদে আদতে “ভয়” পেয়েছে “বিজেমূল”, এমনটাই করা হয়েছে দাবি। শুধু তাই নয়, বামেদের বার্তা, “দেওয়াল লিখে মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়কে আটকানো যাবে? না যাবে না। কারোর ক্ষমতা নেই।”
এদিকে পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনের প্রথম দফা শুরু হতে আর মাত্র বাকি চারদিন। এবারে নন্দীগ্রাম থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে ভোটে লড়ছেন স্বয়ং ঘাসফুল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর উল্টোদিকে তাঁর বিপরীতে রয়েছেন তাঁরই একদা সৈনিক শুভেন্দু অধিকারী। এই দুই হেভিওয়েট প্রার্থীর বিরুদ্ধেই বামেরা ভরসা রেখেছে তারুণ্যে। লড়াইয়ের টিকিট পেয়েছেন যুব নেত্রী মীনাক্ষী।