কলকাতা: বাংলার বিধানসভা নির্বাচনের আগে জোটের ঘোষণা করেছিল সিপিএম, কংগ্রেস এবং আব্বাস সিদ্দিকীর দল। ব্রিগেডের মঞ্চ একসঙ্গে তাবড় নেতাদের দেখা গিয়েছিল। কিন্তু বাংলার বিধানসভা ভোট হয়ে যাবার পর তিন দলই ছন্নছাড়া। আব্বাস সিদ্দিকীর দল আইএসএফ একটা আসন পেলেও, সিপিএম এবং কংগ্রেস শূন্য হয়ে গিয়েছে। তাই এবার সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি স্পষ্ট ঘোষণা করে দিলেন যে, ভোট শেষ তাই জোট শেষ। যদিও এই সিদ্ধান্ত নিয়ে আপত্তি রয়েছে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরীর।
আরও পড়ুন- উচ্চ প্রাথমিক মেধা তালিকায় অভিযোগের পাহাড়! নিষ্পত্তিতে আরও ৩ মাস সময় চাইল SSC
নির্বাচনের আগেই এই জোট নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল কিন্তু তখন আমল দেয়নি কেউ। কিন্তু এখন এই জোট নিয়ে কংগ্রেস এবং সিপিএম দুই দলই ব্যাপক অস্বস্তিতে। তবে সংযুক্ত মোর্চা নিয়ে নিজের অবস্থান ইতিমধ্যেই স্পষ্ট করে দিয়েছেন সিপিএম সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি। তিনি স্পষ্ট জানিয়েছেন, শুধুমাত্র বিধানসভা নির্বাচনের জন্য জোট হয়েছিল। কিন্তু এখন নির্বাচন শেষ তাই জোট শেষ। ভোটের পর এর আর কোন প্রাসঙ্গিকতা নেই। যদিও সীতারাম ইয়েচুরির এই বক্তব্য সমর্থন করছেন না কংগ্রেস সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরী। এক সংবাদমাধ্যমকে সাক্ষাৎকার দিয়ে তিনি জানিয়েছেন যে, একতরফা এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে কারণ জোটের দরকার নেই এটা কংগ্রেস মনে করছে না। এর আগে ২০১৬ বিধানসভা নির্বাচনে জোট হয়েছিল সেটাও আলোচনা না করে ভেঙে দেওয়া হয়েছিল আর এখনো তাই হচ্ছে।
আরও পড়ুন- দুয়ারে রেশন: সিঙ্গেল বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্চ করে প্রধান বিচারপতির এজলাসে ডিলাররা
এই জোটের ইস্যু নিয়ে ইতিমধ্যেই কংগ্রেস এবং সিপিএমকে একহাত নিতে শুরু করে দিয়েছে তৃণমূল এবং বিজেপি। ঘাসফুলের তরফে মুখপাত্র কুণাল ঘোষ জানিয়েছেন, জোট এমনিতেই দিশাহীন ছিল। বিজেপিকে সুবিধা দেওয়ার জন্য এই জোট তৈরি হয়েছিল কিন্তু বাংলার মানুষ তাদের বুঝিয়ে দিয়েছেন। এদিকে বিজেপির তরফে বলা হচ্ছে, বামফ্রন্ট এবং কংগ্রেস সুবিধাবাদী ছিল তাই মানুষ তাদের বিশ্বাস করেনি।