কলকাতা: গতকালের তুলনায় কিছুটা কমল বাংলার দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা। গতকাল সংক্রমিত হয়েছিল ৮৬৯ জন, আজ তার থেকে অনেকটাই কমেছে আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা। এদিকে আবার রাজ্যে সুস্থতার হার বাড়ছে। অন্যদিকে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার পাশাপাশি উত্তরবঙ্গকে নিয়ে আশঙ্কা বাড়ছে সকলের। সেখানে সংক্রমণ কিছুটা ঊর্ধ্বমূখী হয়েছে আজও। যদিও আক্রান্তের নিরিখে আজও শীর্ষে উত্তর ২৪ পরগনা জেলা।
আজ বাংলার করোনা তথ্য বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে নতুন করে ভাইরাস আক্রান্ত হয়েছেন ৭৯৩ জন, যা গতকালের তুলনায় অনেকটাই কম। সংক্রমণের নিরিখে শীর্ষে উত্তর ২৪ পরগনা। গত একদিনে সর্বাধিক করোনা আক্রান্তের হদিশ মিলেছে এখানে, সেখানে আক্রান্ত ৯২ জন। এরপরে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে দার্জিলিং। একদিনে সেখানে আক্রান্ত অনেকটাই বেড়ে ৮১ জন। তৃতীয় স্থানে কলকাতা। একদিনে সেখানকার ৫৭ জন মারণ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। চতুর্থ স্থানে রয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর, শহরে আক্রান্ত ৫১ জন। ফলে এখনও পর্যন্ত রাজ্যে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১৫ লক্ষ ২১ হাজার ২৬১ জন। এদিকে, করোনাকে হারিয়ে এক দিনে জয়ী হয়েছেন ৯৬৬ জন। রাজ্যে মোট করোনাজয়ীর সংখ্যা ১৪ লক্ষ ৯১ হাজার ০১৬ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থতার হার ৯৮.১ শতাংশ। অন্যদিকে, গত একদিনে রাজ্যে মৃত্যুর সংখ্যা ১৩।
আরও পড়ুন- নিশীথের নাম না করেই আক্রমণ ডেরেক ও’ব্রায়েনের, অশান্তি লোকসভাতেও
উল্লেখ্য, সম্প্রতি স্বাস্থ্য দফতর থেকে একটি নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, কোভিড অতিমারীর পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে আপাতত বীমার মেয়াদ বাড়ানো হল। এই সংক্রান্ত পরবর্তী আদেশনামা প্রকাশিত না হওয়া পর্যন্ত এই সিদ্ধান্তই বহাল থাকবে। ২০২০ সালের মে মাস থেকে রাজ্য সরকার কোভিড যোদ্ধাদের এই বিমার সুবিধা দিয়ে আসছে। চিকিৎসক সহ স্বাস্থ্যকর্মী, পুলিশ কর্মীর মতো যাঁরা কোভিড মোকাবিলায় সামনে থেকে লড়াই চালাচ্ছেন তাঁদের ও তাঁদের পরিবারকে সুরক্ষিত করতে ১০ লক্ষ টাকার বীমা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কোভিড অতিমারীতে লড়াই করতে গিয়ে কেউ মারা গেলে তাঁর পরিবার ১০ লক্ষ টাকা পাবে। কোভিডে আক্রান্ত হলে ১ লক্ষ টাকা পাবে। ২০২০ সালের নভেম্বর মাসে বিমার মেয়াদ সরকারিভাবে শেষ হয়ে গিয়েছিল।