কলকাতা: রাজ্যের কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা একটু নিম্নমুখী হলেও শহরের সংক্রমণ চিন্তা বাড়িয়ে দিল। কারণ আজ কলকাতা সংক্রমণের শীর্ষে রয়েছে। অন্যদিকে, চিন্তা জারি রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনাকে নিয়েও। তবে ১০০০-এর মধ্যেই রয়েছে মোট সংক্রমণ যা স্বস্তির বিষয়। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে সুস্থতার হার ৯৮.২৩ শতাংশ।
আরও পড়ুন- অন্যের হয়ে বি.টেক প্রবেশিকা! নিউটাউন থেকে ধরা পড়ল ভুয়ো পরীক্ষার্থী
শেষ পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছে ৫১০ জন। আক্রান্তদের মধ্যে ৮১ জন কলকাতার! সংক্রমণের নিরিখে আজ প্রথম স্থানে শহর। এর পরেই রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা। সেখানে আক্রান্ত ৭৯ জন। সংক্রমণের নিরিখে দ্বিতীয় স্থানে এই জেলা। তৃতীয় স্থানে দার্জিলিং। একদিনে সংক্রমিত সেখানকার ৫২ জন। চতুর্থ স্থানে নদিয়া। সেখানে একদিনে সংক্রমিত ৪৭ জন। এখনও পর্যন্ত রাজ্যে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১৫ লক্ষ ৪৮ হাজার ০৫৮ জন। সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১৫ লক্ষ ২০ হাজার ৭০২ জন। একদিনে করোনাকে পরাস্ত করে ঘরে ফিরেছেন ৬৪৭ জন। এদিকে, একদিনে রাজ্যে করোনা ভাইরাসের বলি হয়েছেন ১১ জন। রাজ্যে মৃত্যু হয়েছে মোট ১৮ হাজার ৪৩৪ জনের।
এদিকে, করোনার দোসর হয়ে রাজ্যে হানা দিয়েছে স্ক্রাব টাইফাস৷ জ্বর এলে আর অবহেলা নয়৷ গত দেড় মাসে রাজ্যে অনেকটাই বেড়েছে স্ক্র্যাব টাইফাসের সংখ্যা৷ তাই চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ খেলেই বাড়তে পারে বিপদ৷ কলকাতার প্রায় সমস্ত সরকারি হাসপাতালেই আক্রান্ত সন্দেহে ভর্তি রয়েছেন বেশ কয়েকজন৷ আরজিকর, এসএসকেএম, ইনস্টিটিউট অফ চাইন্ড হেলথে গেলেই খোঁজ মিলবে ২-৩ জন স্ক্র্যাব টাইফাসে আক্রান্তের৷ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ট্রম্বিকিউলিড মাইটস নামে এক ধরনের মাকড়ের কামড়ে শরীরে স্ক্র্যাব টাইফাস ব্যকটেরিয়া ঢোকে৷ রোগের প্রাথমিক উপসর্গ ডেঙ্গির মতো৷ প্রথমে জ্বর, তার সঙ্গে সারা শরীরে প্রচণ্ড যন্ত্রণা, চোখের পিছনে ব্যথা, বমি, গায়ে ব়্যাশ৷ জ্বর ১০২, ১০৩, ১০৪ বা ১০৫ ও হতে পারে৷ চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, আক্রান্তদের অধিকাংশই কলকাতা ও পার্শ্ববর্তী জেলা থেকে আসছে৷