সাগরদিঘি: অধীর চৌধুরীর ‘প্রাক্তন’ গড়। সেখান থেকেই ফের বিধানসভা যাচ্ছে কংগ্রেস। প্রায় ২৩ হাজার ভোটে তৃণমূল কংগ্রেসকে হারিয়ে দিয়েছেন কংগ্রেস প্রার্থী বাইরন বিশ্বাস। এদিন গণনার শুরু থেকেই কংগ্রেসের দাপট দেখা যাচ্ছিল সাগরদিঘিতে। শেষ রেশ শেষ পর্যন্ত বজায়ই থাকল। শেষে তৃণমূল প্রার্থী দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়কে ২২ হাজার ৯৮০ ভোটে হারিয়ে জয়ী হলেন বাম সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থী বাইরন বিশ্বাস।
আরও পড়ুন- নওশাদদের বিরুদ্ধে উস্কানিমূলক বক্তব্যের প্রমাণ নেই! এই যুক্তিতেই জামিন
তৃণমূলের তিন বারের বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী সুব্রত সাহার মৃত্যুর পর সাগরদিঘি কেন্দ্র প্রতিনিধিহীন হয়ে পড়ে৷ সেই কেন্দ্রে উপনির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে৷ এ বার সাগরদিঘি আসনে ত্রিমুখী লড়াই হয়। বিজেপির প্রার্থী ছিলেন দিলীপ সাহা। তিনি অবশ্য কোনও দাগ কাটতে পারেননি। তবে সাগরদিঘি সবথেকে ‘খারাপ’ করল ঘাসফুল শিবিরের জন্য। কারণ ২০১১ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত টানা ৩টি বিধানসভা নির্বাচনে এই আসন ছিল তৃণমূলের দখলে। তবে এ বার পালাবদল হল এই আসনে। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে একটি আসনেও জয়ী হয়নি কংগ্রেস। সেই শূন্যতা এবার ভরে দিল সাগরদিঘি। এখান থেকেই এ বার রাজ্য বিধানসভাতে প্রতিনিধি পাঠাবে হাত শিবির।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”মদন মিত্র, ফিরহাদ হাকিমকে ভর্ৎসনা বিচারকের! PMLA court judge rebukes Firhad Hakim, Madan Mitra” width=”560″>
বলে রাখা ভাল, উপনির্বাচনের ঠিক আগে এই বাইরন বিশ্বাসের বিরুদ্ধেই শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছিল। যদিও কংগ্রেস দাবি করেছিল, এটা ষড়যন্ত্র ছাড়া আর কিছুই নয়। অন্যদিকে, বাইরনকে শুভেন্দু অধিকারী ঘনিষ্ঠ বলে দাবি করেছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু এসব আদতে যে কোনও কাজে আসেনি বিরোধী পক্ষের জন্য তা নির্বাচনের ফলাফল প্রমাণ করে দিল।