ভর্ৎসনার পরই পদক্ষেপ কমিশনের, মিটিং-মিছিল বন্ধ নিয়ে হলফনামা পেশ হাইকোর্টে

ভর্ৎসনার পরই পদক্ষেপ কমিশনের, মিটিং-মিছিল বন্ধ নিয়ে হলফনামা পেশ হাইকোর্টে

কলকাতা: ভোটের প্রচারে মিটিং-মিছিল, রোড শো বন্ধ সংক্রান্ত নির্বাচন কমিশনের হলফনামা শুক্রবার গ্রহণ করল কলকাতা হাইকোর্ট৷ সাধারণ মানুষ যাতে করোনা বিধি মেনে চলেন, তার জন্য কমিশনকে উপযুক্ত পদক্ষেপ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল৷ গতকাল নির্বাচন কমিশনকে রীতিমতো ভর্ৎসনা করেছিল কলকাতা হাইকোর্ট৷ তার পরেই আজ হলফনামা পেশ করা হয়৷ যা আজ গ্রহণ করেন প্রধান বিচারপতি৷

আরও পড়ুন- করোনার মহা-প্রলয় রুখলে টাস্ক ফোর্স গঠন রাজ্যের

গতকাল কলকাতা হাইকোর্টের ভর্ৎসনার পরই কমিশনের তরফে তড়িঘড়ি কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়৷ ইতিমধ্যেই ব়্যালি, বাইক মিছিল, রোড শো বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷ নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে জনসভা৷ কোভিড নিয়ন্ত্রণে যে সকল পদক্ষেপ নির্বাচন কমিশনের তরফে গ্রহণ করা হয়েছে, সেই সংক্রান্ত হলফনামাই আজ কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির কাছে পেশ করা হয়৷ এই হলফনামা গ্রহণ করেছেন প্রধান বিচারপতি৷ এর পর হাইকোর্ট জানায়, গ্রাম হোক বা শহর সর্বত্র মানুষ যাতে করোনা বিধি মেনে চলেন,  মাস্ক ব্যবহার করেন, তা নিশ্চিত করতে হবে কমিশনকে৷ সর্বত্র মাস্কের ব্যবহার নিশ্চিত করতে যাবতীয় পদক্ষেপ করতে হবে তাঁদের৷ প্রয়োজনে বিশেষ অফিসার নিয়োগ করুক কমিশন, নির্দেশ আদালতের৷

এই মামলার পরবর্তী বিচার হবে আগামী সোমবার৷ আদালতের নির্দেশ, এই সময়ের মধ্যে  কোভিড বিধি মেনে সুষ্ঠ ভাবে নির্বাচন করানো থেকে সাধারণ মানুষকে করোনা সংক্রমণের হাত থেকে বাঁচাতে যা যা পদক্ষেপ প্রয়োজন সেটাই করতে হবে কমিশনকে৷ অবিলম্বে পদক্ষেপ করারও কথাও এদিন বলা হয়েছে৷ কারণ রাজ্যে এখনও ২ দফা নির্বাচন বাকি৷ গতকাল এই মামলার শুনানির সময় প্রধান বিচারপতি স্পষ্ট জানিয়েছিলেন, শুধু মাত্র সার্কুলার জারি করলে হবে না, পদক্ষেপ করতে হবে৷ এর পরেই  এই হলফনামা৷  

আরও পড়ুন- আইকোর মামলায় ED দফতরে হাজিরা মদন-পুত্রের, আর্থিক লেনদেনের সূত্র খুঁজতেই জেরা

গতকাল নির্বাচন কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, রাজ্যে করোনা সংক্রমণের বাড়বাড়ন্তের জেরে সমস্ত রাজনৈতিক দলের রোড শো, মিছিলে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হল৷  বৃহস্পতিবার সন্ধে ৭টা থেকেই এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হচ্ছে৷ আগে দেওয়া সমস্ত রোড শো, মিছিলের অনুমতিও বাতিল করা হচ্ছে৷ জনসভা করার ক্ষেত্রে অনুমতি দেওয়া হলেও তা সামাজিক দূরত্ব মেনে করতে হবে বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছে কমিশন৷ সর্বোচ্চ ৫০০ জনকে নিয়ে সভা করতে হবে৷ তার বেশি লোক রাখা যাবে না বলে কড়া নির্দেশ দিয়েছে কমিশন৷ এই নির্দেশ অক্ষরে অক্ষরে পালন করা হচ্ছে কিনা, মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিককে কমিশনের কাছে তার রিপোর্ট পেশ করতে হবে বলেও সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে৷
 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *