শীতলকুচি নিয়ে ফাঁস হওয়া অডিও টেপকাণ্ডে এবার রিপোর্ট তলব কমিশনের

শীতলকুচি নিয়ে ফাঁস হওয়া অডিও টেপকাণ্ডে এবার রিপোর্ট তলব কমিশনের

কলকাতা: গত ১০ এপ্রিল চতুর্থ দফা ভোটে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে শীলকুচি৷ কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে মৃত্যু হয় হয় চারজনের৷ এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি৷ এরই মধ্যে শীতলকুচি নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও পার্থপ্রতিম রায়ের কথোপকথনের অডিও ফাঁস হয় শুক্রবার৷ এই অডিও টেপ কাণ্ডে এবার রিপোর্ট তলব করল নির্বাচন কমিশন।

আরও পড়ুন- শেষ দুই দফার ভোট একসঙ্গে করার দাবি! আবার আওয়াজ তুলল তৃণমূল

গত শুক্রবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও কোচবিহার জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি পার্থপ্রতিম রায়ের মধ্যে কথোপকথনের ওই রেকর্ডিং ফাঁস করে বিজেপি৷ নির্বাচন কমিশনের কাছে মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমোর বিরুদ্ধে ধর্মীয় মেরুকরণের চেষ্টার অভিযোগ করেন তাঁরা। সেই ঘটনার প্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশন রাজ্যের মুখ্য নির্বাচন আধিকারিকের কাছে রিপোর্ট তলব করেছে বলে কমিশন সূত্রে খবর৷ 

শীতলকুচির ঘটনাকে হাতিয়ার করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের পুলিশ আধিকারিকদের ফাঁসানোর চেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ বিজেপি নেতৃত্বের। পাশাপাশি তাঁদের অভিযোগ, এই ঘটনাকে অবলম্বন করে ভোট ময়দানে ধর্মীয় মেরুকরণের চেষ্টা চালাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। শীতলকুচির ঘটনার তদন্তে সিট গঠনের আবেদনও জানায় গেরুয়া শিবির৷ 

এর আগে বহুবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে প্রশাসনের রাজনীতিকরণ করার অভিযোগ তুলেছে বিজেপি৷ পুলিশ শাসক দলের হয়ে কাজ করে বলেও বিস্ফোরক দাবি উঠেছে৷ শীতলকুচি কাণ্ডে অডিও টেপ ফাঁস হওয়ার পর বিজেপি নেতা শিশির বাজোরিয়া বলেন, ‘‘প্রথম থেকেই পুলিশকে দলদাস করে রেখেছে তৃণমূল৷ এখন বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী পুলিশ কর্তাদের ফাঁসানোর চেষ্টা করছেন৷’’ 

আরও পড়ুন- ‘যথেষ্ট ব়্যালি হয়েছে, এবার মানুষকে বিচার করতে দিন’, করোনা মামলায় রায় হাইকোর্টের

রাজ্যে প্রচারে এসে শীতলকুচি কাণ্ড নিয়ে তোপ দেগেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও৷ তিনি বলেন, ‘‘দিদির অসংবেদনশীল আচরণ করছেন৷ কোচবিহারের শীতলকুচিতে যা হয়েছে,  তা নিয়ে একটি অডিয়োটেপ সকলেই শুনেছেন৷ ৫ জনের মৃত্যু নিয়ে রাজনীতি করছেন দিদি৷ আর সেটা ওই অডিয়ো থেকেই স্পষ্ট৷ লাশের রাজনীতি দিদির পুরনো অভ্যেস।  দিদি কোচবিহারের তৃণমূল নেতাকে মৃতদেহ নিয়ে মিছিল করার কথা বলেছেন। 
 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *