কলকাতা: দেশে এবং রাজ্যে করোনাভাইরাস পরিস্থিতির বাড়বাড়ন্তের জেরে এর আগে শেষ তিন দফার নির্বাচন একদিনে করার প্রস্তাব দিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। যদিও নির্বাচন কমিশনের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রস্তাবে রাজি হয়নি ভারতীয় জনতা পার্টি এবং সংযুক্ত মোর্চা। কিন্তু দিনপ্রতি করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ উদ্বেগ আরো বাড়িয়ে দিচ্ছে সকলের। এই প্রেক্ষিতে তিনদফা একসঙ্গে না হলেও শেষ দুই দফার বিধানসভা নির্বাচন একদিনে করতে আবার উদ্যোগ নিল তৃণমূল কংগ্রেস। ইতিমধ্যেই এই দাবিতে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দ্বারস্থ হয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিনিধি দল। যে দলে ছিলেন সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন, সুখেন্দু শেখর রায়, দোলা সেন সহ প্রতিমা মণ্ডল এবং পূর্ণেন্দু বসু।
আগামী বৃহস্পতিবার রাজ্যে ষষ্ঠ দফার নির্বাচন রয়েছে। এরপর ২৬ এবং ২৯ এপ্রিল যথাক্রমে সপ্তম এবং অষ্টম দফার নির্বাচন। তবে এ রাজ্যের করোনাভাইরাস পরিস্থিতির দিকে নজর দিয়ে এবার সেই শেষ দুই দফার নির্বাচনে একদিনে করার উদ্যোগ নিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। এই প্রেক্ষিতে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিনিধি দল দ্বারস্থ হয়েছে নির্বাচন কমিশনের। তাদের মূল বক্তব্য, সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আনতে গেলে সভা এবং মিছিল কমিয়ে দিতে হবে সেই প্রেক্ষিতে যদি নির্বাচন একদফায় করা যায় তাহলে স্বাভাবিকভাবেই সেই সংখ্যা কমে যাবে। অন্যদিকে ভোট পরিচালনার কাজে যুক্ত কর্মীরা যে কোনো মুহূর্তে আক্রান্ত হতে পারেন, তাহলে ভোট প্রক্রিয়া ব্যাহত হবে। যদিও এর আগে যখন তৃণমূল কংগ্রেস এক দফায় নির্বাচন করতে বলেছিল তখন বিজেপি সহ বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল তাদের সমর্থন জানায়নি। এবারেও সমর্থন না জানিয়ে তারা চাইছে নির্ধারিত সূচি মেনে নির্বাচন হোক। এদিকে নির্বাচন কমিশনও ভোটের দফা কমানোর পরিকল্পনা এখনো পর্যন্ত করছে না বলেই জানা যাচ্ছে।
এর আগে যখন খবর রটেছিল যে নির্বাচন কমিশন ভোটের দফা কমিয়ে একদিনে শেষ তিন দফার নির্বাচন করে দেবে, তখন তাদের তরফেই এই সম্ভাবনা নস্যাৎ করে দেওয়া হয়। জানিয়ে দেওয়া হয় এই রকম কোনো পরিকল্পনা নেই নির্বাচন কমিশনের। এবারেও সেই একই ঘটনা পুনরায় ঘটবে বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞদের একাংশ। কারণ কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন নিয়ে একটা সমস্যা দেখা দেবে বলে মনে করা হচ্ছে, একইসঙ্গে অন্যান্য রাজনৈতিক দলের অমত যেহেতু রয়েছে তাই শুধুমাত্র তৃণমূল কংগ্রেসের দাবি মেনে সিদ্ধান্ত নেবে না নির্বাচন কমিশন। তাই বলাই বাহুল্য, নির্ধারিত সূচি মেনেই বাংলায় বিধানসভা নির্বাচন সম্পন্ন হতে চলেছে।