বহু কষ্টে খোঁজ মিলল কেষ্টর, বাহিনীকে ‘ফাঁকি’ দিয়ে তারাপীঠে মায়ের মন্দিরে অনুব্রত

বহু কষ্টে খোঁজ মিলল কেষ্টর, বাহিনীকে ‘ফাঁকি’ দিয়ে তারাপীঠে মায়ের মন্দিরে অনুব্রত

বীরভূম: বহু কষ্ট করে মিলল কেষ্টর খোঁজ৷ সকাল সাড়ে এগারোটা থেকে কার্যত খোঁজ মিলছিল না বীরভূমের তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের। নজরবন্দির জন্য মোতায়েন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের চোখের সামনে দিয়েই গাড়ি নিয়ে অদৃশ্য হয়ে যান তিনি৷ বাহিনীর চোখকে কার্যত ‘ফাঁকি’ দিয়ে বেড়িয়ে যায় তাঁর গাড়ি৷ এর পর থেকে হন্যে হয়ে তাঁকে খুঁজতে শুরু করে কমিশন ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর অফিসাররা৷ অবশেষে বেলা ২টো নাগাদ তারাপীঠ মন্দিরে গিয়ে খোঁজ মিলল অনুব্রতর৷

আরও পড়ুন- টিকার অভাব মেটাতে তৎপর রাজ্য, নেওয়া হচ্ছে একাধিক পদক্ষেপ

আজ সকাল সাড়ে এগারোটা নাগাদ বাড়ি থেকে বেরন অনুব্রত মণ্ডল৷ এরপর বিভিন্ন জায়গায় যায় তাঁর গাড়ি৷  তিনি বেরনোর পরেই তাঁর গাড়ি ফলো করতে থাকে কেন্দ্রীয় বাহিনীর অফিসাররা৷ কিন্তু হঠাৎ করেই গতি বাড়িয়ে অনুব্রতর গাড়ি বেড়িয়ে যায়৷ ঠিক সেই সময় সামনে অন্য একটি গাড়ি চলে আসায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর গাড়ি আটকে পড়ে৷ এর পর থেকে আর কোনও ভাবেই তাঁর নাগাল পাওয়া যাচ্ছিল না৷ এমনকী তাঁর সঙ্গে যোগাযোগও করা সম্ভব হচ্ছিল না৷ আড়াই ঘণ্টা পর তাঁর খোঁজ মেলে তারাপীঠ মন্দিরে৷ মায়ের কাছে পুজো দিয়ে কী চাইলেন তিনি? এ বিষয়ে অবশ্য কোনও কথা বলেননি৷ তাঁর কথায়, মাকে যা বলার তাই বলে এসেছে৷ অবশ্য এর পরেই তাঁকে ফের নজরবন্দি করা হয়৷ 

আরও পড়ুন- মেলেনি সাড়া, হাসপাতালের বাইরে অ্যাম্বুলেন্সে বসেই শ্বাসকষ্টে মৃত্যু রোগীর

বুধবার বিকেল পাঁচটা থেকে ৩০ তারিখ ভোর ৭টা পর্যন্ত নজরবন্দি থাকবেন অনুব্রত৷ এই সময় ভিডিয়োগ্রাফিও করা হবে৷ বলা হয়, তাঁর সঙ্গে থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনী এবং এগজিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট৷ আজ সকাল ১১টা নাগাদ বাড়ি থেকে বেরন অনুব্রত৷ সেখান থেকে সোজা নানুরে দলীয় কার্যালয়ে যান তিনি। সেখান থেকে যান লাভপুরের দলীয় কার্যালয়ে৷ সেখান থেকে বেরনোর কিছুক্ষণের মধ্যেই তিনি উধাও হয়ে যান৷ গতি বাড়িয়ে চোখের বাইরে চলে যায় তাঁর গাড়ি৷ তার পর থেকে প্রায় হন্যে হয়ে তাঁর খোঁজে ছুটে বেড়ান অফিসাররা৷  প্রায় আড়াই ঘণ্টা পর মিলল কেষ্ট৷ 
 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

17 + 4 =