ডিএম ম্যাডামের ফেসবুক থেকে নেতাদের ঝগড়া! প্রশাসনিক বৈঠকে বিঁধলেন মুখ্যমন্ত্রী

ডিএম ম্যাডামের ফেসবুক থেকে নেতাদের ঝগড়া! প্রশাসনিক বৈঠকে বিঁধলেন মুখ্যমন্ত্রী

মেদিনীপুর: পশ্চিম মেদিনীপুরের প্রশাসনিক বৈঠক থেকে নরমে গরমে প্রশাসনিক কর্তাদের বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷  এদিন পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলাশাসকের কাজের প্রশংসা করার পাশাপাশি তাঁকে ঠুঁকেই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘ডিএম ম্যাডাম ফেসবুক কম করে একটু ছোটাছুটি করলে অনেক কাজ করতে পারেন৷’’ সেই সঙ্গে নেতাদের উদ্দেশে তাঁর প্রশ্ন, তোমরা কি ঝগড়া করছ? না ঠিক আছ? 

আরও পড়ুন- প্রশাসনিক বৈঠকে কল্পতরু মুখ্যমন্ত্রী, করলেন একের পর এক জনমোহিনী ঘোষণা!

এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ডোম থেকে শুরু করে বৃহন্নলা, যৌনকর্মী কিংবা বেঁটে বামন, সকলের যেন রেশন কার্ড করে দেওয়া হয়৷ কেউ যাতে খাবার থেকে বঞ্চিত না হয়৷ তাঁদের স্বাস্থ্য ও শিক্ষার দিকেও নজর দিতে হবে৷ এ পরই মুখ্যমন্ত্রীকে জানানো হয়, আগে রেশনকার্ডগুলি অন্তোর্দয় ছিল৷ সেখানে আরকেএসওয়াই ওয়ান এবং টু হয়ে যাওয়ায় অনেকেই ৩৫ কেজি খাদ্য শস্য পাচ্ছে না৷ দাঁতন ব্লকে আরকেএসওয়াই টু কার্ড পেয়েছিলেন ৩০ জন৷ তবে ডিএম ম্যাডামকে বলার সঙ্গে সঙ্গে তিনি তাঁদের খাদ্য শস্যের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন৷ ওই কার্ডগুলোকে কী ভাবে ফের অন্তোর্দয়ে নিয়ে আসা যায় সেই দিকটিও বিবেচনা করে দেখার আবেদন জানানো হয়৷ এর পরই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘ডিএম ম্যাডাম তো নিজেও ডাক্তার৷ ডিএম ম্যাডাম একটু ফেসবুক কম করে ছোটাছুটি করলে অনেক কাজ করতে পারে৷ উনি ভালো কাজ করতে পারেন৷ ভালো করে এলাকায় এলাকায় ঘোর৷’’  

আরও পড়ুন- বাংলায় আয়ুষ্মান প্রকল্প চালু হলে আপত্তি নেই রাজ্যের! কেন্দ্রকে নয়া শর্ত মুখ্যমন্ত্রীর

 
এছাড়াও বাংলা আবাস যোজনায় লোধা-সবরদের ঘর আবিলম্বে করে দেওয়ার নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী৷ এছাড়াও মন্দির সংস্কারের জন্যও বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানান৷ রাজ্যের পর্যটন বিভাগ সমস্ত মন্দির, মসজিদ, গির্জা, গুরুদ্বরা এবং অদিবাসীদের জহর থান ও মাজি থান একটি মানচিত্রের মধ্যে নিয়ে আসছে৷ ফলে মন্দির সংস্কারেও সমস্যা হবে না৷ এছাড়াও লোধা সম্প্রদায়ের পুরোহিতদের ভাতা দেওয়া হবে বলেও মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দেন৷ তিনি আরও বলেন, লোধা, সবর, তফশিলি জাতি, উপজাতির ছেলেমেয়েদের বিনা পয়সায় বিশেষ কোচিং দেওয়া হয়৷ তফশিলি জাতি-উপজাতির ছেলেমেয়েরা ডাক্তার ইঞ্জিনিয়র হচ্ছে৷ বৃত্তি পাচ্ছে৷ বাইরে পড়তে গেলে ২০ লক্ষ টাকা ঋণ দেওয়া হচ্ছে তাদের৷ আর রাজ্যের মধ্যে পড়াশোনা করার জন্য ১০ লক্ষ টাকার সফট লোন দেওয়া হচ্ছে৷    

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

fifteen − 2 =