মেদিনীপুর: কেন্দ্রীয় সরকার আয়ুষ্মান প্রকল্প করুক তাতে আপত্তি নেই রাজ্য সরকারের। কিন্তু সেক্ষেত্রে তা তাদের করতে হবে সম্পূর্ণ নিজেদের খরচে। কেন্দ্রীয় সরকারের আয়ুষ্মান প্রকল্প ঘোষণার দুবছর আগেই রাজ্যের স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্প ঘোষিত হয়। যেখানে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকল্পটির খরচের ষাট শতাংশ কেন্দ্র বহন করবে এবং বাকি চল্লিশ শতাংশ রাজ্যের।
মুখ্যমন্ত্রীর দাবি রাজ্য সরকার যেখানে ১০০ শতাংশ ব্য়ে একটি একইরকম পরিকল্পনা চালাচ্ছে সেখানে কেন্দ্রের ওই প্রকল্পের জন্য আর খরচ নেওয়া যাবে না। কেন্দ্র সম্পূর্ণ নিজের খরচে আয়ুষ্মান প্রকল্প চালাতে পারে। তাঁর আরও দাবি যেখানে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের আওতায় রয়েছেন দেড় কোটি মানুষ সেখানে রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পের আওতায় রয়েছেন সাড়ে সাত কোটি মানুষ। তাঁর দাবি স্বল্প পরিসরের এই প্রকল্পের ভার কেন্দ্র একাই নিতে পারবে।
তিনি এদিন কিষাণ ক্রেডিট কার্ড নিয়ে নিজের ক্ষোভ প্রকাশ করেন। কার্ডের তথ্য তুলে ধরে প্রশাসনের সঙ্গে ব্যাঙ্কের আলোচনার কথা বলেন তিনি। কার্ড দেওয়ার ক্ষেত্রে ব্যাঙ্কের গড়িমসির প্রসঙ্গ চতুলে তাদের দিয়ে কাজ করিয়ে নিতে বলেন মমতা। কৃষকবন্ধু প্রকল্পের আওতায় যাতে কৃষকরা টাকা পান সেদিকেও নজর দিতে বলেন তিনি। মৃত কৃষকদের জন্য ডেথ বেনিফিটের কথা বলেন তিনি। তিনি বলেন যাতে সে টাকা পাওয়া যায় সেদিকেও নজর দিতে হবে।
পেনশন প্রকল্পের টাকা যাতে মানুষ সময়ে পান, যাতে তা মাসের পর মাস পড়ে না থাকে সেদিকে নজর দিতে বলা হয়। আদিবাসী পরিবারসহ জয় বাংলা পেনশন প্রকল্পগুলির কথা বলেন তিনি। বিধবাভাতাসহ যে পেনশন প্রকল্পগুলি অল্প টাকার সেগুলিকে হাজার টাকা করে দেওয়া হয়েছে বলে তিনি এদিন জানান। মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেন মানুষ এখন সমস্যায় রয়েছে তাই আগে আগে টাকা দিয়ে দিলে তাদের সুবিধা হয়। সেক্ষেত্রে পেনশনগুলির টাকা তিনমাস করে একসঙ্গে দিলে ভালো হয় বলেও জানান তিনি। কন্যাশ্রীর টাকা নিয়েও এদিন আলোচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী।