শিশুদের মৃত্যুতে শোক মুখ্যমন্ত্রীর, অ্যাডিনো ইস্যুতে আতঙ্কিত না হয়ে সাবধান থাকার পরামর্শ

কলকাতা: অ্যাডিনোভাইরাস নিয়ে রাজ্যের সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী আগেই উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন। তবে বৃহস্পতিবার তিনি বললেন, সংক্রমণ নিয়ে অযথা আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এও বলেন, অ্যাডিনোভাইরাস নিয়ে জনমানসে অযথা আতঙ্ক তৈরি করা হচ্ছে। নবান্নে আজ মুখ্যমন্ত্রী অ্যাডিনোভাইরাস ইস্যুতে প্রশাসন ও স্বাস্থ্যকর্তাদের সঙ্গে এক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেন। তারপর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি একথাই জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন- নির্বাচন কমিশনার নিয়োগে কমিটি গঠন সুপ্রিম কোর্টের, ভূমিকা থাকবে প্রধানমন্ত্রীরও
মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, অযথা আতঙ্ক সৃষ্টি হওয়ার কারণেই মানুষ শিশুদের সামান্য জ্বর, সর্দি হলেই হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছেন। জেলার একাধিক হাসপাতালও কিছু না দেখেই রোগীদের রেফার করে দিচ্ছে। যার ফলে শহরের সরকারি হাসপাতালে চাপ বাড়ছে। তাঁর এও দাবি, এই আবহের মধ্যে বেসরকারি হাসপাতালের একাংশ পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে মুনাফা লুটছে। আর অ্যাডিনো নিয়ে আতঙ্ক ছড়ানোর বিষয় নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী সংবাদমাধ্যমের একাংশের ভূমিকাকেও দায়ী করেছেন। অন্যদিকে, বর্তমানে রাজ্যে ভাইরাস পরিস্থিতি ঠিক কেমন সেই বিষয় নিয়ে তথ্যও দেওয়া হয়েছে আজ।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, এ পর্যন্ত সরকারি হাসপাতালে ২১৩ জন শিশু শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমনের উপসর্গ নিয়ে ভর্তি হয়েছিল। এর মধ্যে ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। যাদের মধ্যে শুধুমাত্র দু'জনের মৃত্যুর কারণ হিসেবে অ্যাডিনোভাইরাসের উল্লেখ রয়েছে। বাকি সব শিশুই কম ওজনসহ নানা রকম কোমর্বিডিটিতে ভুগছিল। মুখ্যমন্ত্রী এটাও জানান, পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকার সব রকম ভাবে প্রস্তুত আছে। সকলকে অবগত করে বলেন, শিশুদের চিকিৎসায় ৫ হাজার শয্যা এবং ৬০০ শিশু চিকিৎসক প্রস্তুত রয়েছেন। তাঁর পরামর্শ, আতঙ্ক না করে সাবধান হতে হবে। প্রয়োজন ছাড়া সদ্যোজাত থেকে ২ বছর বয়সী শিশুদের ঘর থেকে বের না করার কথাও বলেন তিনি। উল্লেখ্য, এই বিষয়ে মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী জানিয়েছেন, বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিয়ে আক্রান্ত শিশুদের চিকিৎসার জন্য সারা রাজ্যে অভিন্ন প্রোটোকল তৈরি করা হয়েছে। অপ্রয়োজনীয় রেফার রুখতে জেলার হাসপাতালগুলিকে কঠোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজন মতো পেডিয়াট্রিসিয়ান ও নার্স বাড়ানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।