কলকাতা: একাধিক জ্বরের প্রভাব দেখা দিচ্ছে বাংলায়। করোনা ভাইরাসের কারণে জ্বর তো রয়েছেই, এর সঙ্গে ধরা পড়ছে স্ক্রাব টাইফাস, ডেঙ্গি, ইনফ্লুয়েঞ্জা, সোয়াইন ফ্লু’র মত রোগ। সব মিলিয়ে বাংলার সার্বিক চিত্রটা খুবই আতঙ্কের। আরো বড় চিন্তার ব্যাপার হল, এই সব রোগের প্রাথমিক লক্ষণ প্রায় এক। তাই কেউ যদি জ্বরে আক্রান্ত হয় তাহলে প্রথমে বোঝা সম্ভব হচ্ছে না যে সে কোন রোগে আক্রান্ত হয়েছে। তাই চিকিৎসায় দেরি হচ্ছে। ইতিমধ্যেই উত্তরবঙ্গে ত্রাস ছড়িয়েছে এই ঘটনা। বেশ কয়েকজন শিশুর মৃত্যু ঘটেছে। এই প্রেক্ষিতেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দ্রুত অনুসন্ধানের নির্দেশ দিয়েছেন। উত্তরবঙ্গ গিয়েছে বিশেষজ্ঞ দল বলে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন- দুয়ারে রেশন: সিঙ্গেল বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্চ করে প্রধান বিচারপতির এজলাসে ডিলাররা
রাজ্যের করোনা ভাইরাস পরিস্থিতির মধ্যেই শিশুদের নিয়ে আতঙ্ক তুঙ্গে। ইতিমধ্যেই যা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনীতিও। তবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এসব নিয়ে দেরি করতে চান না, তাই তিনি রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগমকে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে নির্দেশ দিয়েছেন। একই সঙ্গে স্কুল অফ ট্রপিক্যাল মেডিসিন এবং উত্তরবঙ্গের সরকারি ল্যাবকে এই জ্বরের ভাইরাসের চরিত্র কী, তা পরীক্ষা করে দ্রুত রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যদিও গতকাল রাজ্যের তরফে জানান হয়েছিল যে, শিশুদের অজানা জ্বরের ভাইরাসকে চিহ্নিত করা গিয়েছে। স্বাস্থ্যসচিব নারায়ন স্বরূপ নিগম বলেন, এই জ্বরের নেপথ্যে রয়েছে আরএস ভাইরাস। এখন গোটা বিষয়টি নিয়ন্ত্রণে বলে তিনি জানান। এই রোগ মোকাবিলায় পর্যাপ্ত পরিকাঠামো এবং ওষুধ মজুদ রয়েছে বলেও তিনি জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন- উচ্চ প্রাথমিক মেধা তালিকায় অভিযোগের পাহাড়! নিষ্পত্তিতে আরও ৩ মাস সময় চাইল SSC
উল্লেখ্য, আজও অজানা জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মালদহে মৃত্যু হয়েছে শিশুর। এর আগে দু’দিনে এখানে মৃত্যু হয়েছিল আরও তিন শিশুর৷ ফলে অজানা জ্বরের প্রকোপে মালদহে শিশু মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল পাঁচ৷ হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত দুই শিশুর নাম আসমা খাতুন এবং ভুতনির দেব মন্ডল। আসমার বাড়ি ঝাড়খণ্ডে৷ সে আত্মীয় বাড়িতে বেড়াতে এসে অসুস্থ হয়ে পড়েছিল৷ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে নিয়ে মালদহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রিন্সিপাল পার্থপ্রতিম মুখোপাধ্যায় জানান, ‘‘শিশু মৃত্যুর কারণ অনুসন্ধানে বিভিন্ন ধরণের পরীক্ষা করা হচ্ছে।’’