‘রাজনীতির লোক নই, ছেড়ে দিন’, মমতার কাছে অব্যাহতি চাইলেন চিরঞ্জিত

‘রাজনীতির লোক নই, ছেড়ে দিন’, মমতার কাছে অব্যাহতি চাইলেন চিরঞ্জিত

কলকাতা: বিধানসভা ভোটের আর কয়েক সপ্তাহ বাকি। তার আগে তৃণমূল কংগ্রেসের অস্বস্তি আবারো বেড়ে গেল। কারণ এবার রাজনীতি এবং দল ছাড়ার আর্জি জানালেন বারাসতের অভিনেতা তথা বিধায়ক চিরঞ্জিত। “রাজনীতির লোক নই, ছেড়ে দিন আমাকে”, এই মন্তব্য করে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আর্জি জানিয়েছেন তিনি। তাহলে কি এবার তিনিও ভোটের মুখে বিজেপিতে যোগ দিতে চলেছেন? স্বাভাবিকভাবেই এই প্রশ্ন উঠতে শুরু করে দিয়েছে। তবে সমস্ত জল্পনার অবসান ঘটিয়েছেন খোদ চিরঞ্জিত।

আরও পড়ুন: সরস্বতী পুজোয় ‘টুম্পা সোনা’ গানে উদ্দাম নাচ পড়ুয়াদের, তুমুল বিতর্কে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়

গোটা বিষয় নিয়ে তিনি জানাচ্ছেন, তিনি প্রথম থেকেই অরাজনৈতিক লোক তাই রাজনীতি করতে চাননি। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে যেহেতু তিনি সম্মান করেন তাই তাঁর কথামতো নির্বাচনে দাঁড়িয়ে ছিলেন ২০১১ সালে এবং ২০১৬ সালেও। কিন্তু এখনো তাঁর মানসিকতা এক রয়ে গেছে। তিনি স্পষ্ট ভাবে বলছেন, রাজনীতিতে তিনি থাকতে চান না, এবার তিনি নিজের জগতে ফিরে যেতে চান। যদিও তিনি কোনভাবে দলবদল করবেন না বলে আশ্বাস দেয়ার ভঙ্গিতে জানিয়েছেন চিরঞ্জিত। তিনি স্পষ্টভাবেই জানিয়ে দিচ্ছেন, যেহেতু তিনি কোনদিন রাজনীতির লোক ছিলেন না তাই এখন সেই একই কথা মনে করিয়ে দল থেকে অব্যাহতি চাইছেন। অন্য কোন দলে যাবার কোনো প্রশ্ন নেই কারণ তিনি এখন তার ‘আসল’ দলে ফিরে যাবেন, যেটা হল অরাজনৈতিক দল। নিজের কাজ করবেন, সিনেমা, ছবি আঁকা এবং গান, এইসব নিয়েই থাকবেন বলে জানিয়েছেন চিরঞ্জিত চক্রবর্তী।

আরও পড়ুন:  ‘দলিত মেয়েকে বিয়ে করা উচিত রাহুল গান্ধীর’, বিতর্ক বাড়ালেন সংসদীয় মন্ত্রী

যদিও চিরঞ্জিতের এই আর্জির প্রেক্ষিতে তৃণমূল কংগ্রেস অথবা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এখনও কোনো প্রতিক্রিয়া মেলেনি। চিরঞ্জিত নিজেও বলছেন, তিনি যা বলার তা বলেছেন এখন পুরোটাই নির্ভর করছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর। কারণ নির্বাচনের আগেও তিনি একই কথা জানিয়েছিলেন তাঁকে, তখন তাঁকে অপেক্ষা করতে বলা হয়েছিল। সেই প্রেক্ষিতে এবারেও একই আর্জি জানান তিনি। এখন এটাই দেখার, আগের বারের নির্বাচনের মতো এবারও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চিরঞ্জিতকে থেকে যেতে বলেন কিনা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *