কলকাতা: হবু ডাক্তারদের ‘হিপোক্রেটিক ওথ’ পাঠ করানোই রীতি। কিন্তু এবার তা বদলে গেল। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে হবু ডাক্তারদের ‘চরক’ পাঠ করানো হল। এই ঘটনা নিয়ে ইতিমধ্যেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে। আর এই ইস্যুতেই অভিযোগ তোলা হচ্ছে যে, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে ‘হিন্দুত্ববাদ’-এর ছায়া ফেলার চেষ্টা হচ্ছে।
আরও পড়ুন- তৈরি হিটলিস্ট, বিশেষ বাহিনী! নতুন নাশকতার ছক কষছে দাউদ
এতদিন ধরে যে রীতি চলে আসছিল তার হঠাৎ বদল হওয়া নিয়ে বিরাট বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। আসলে অনেক দিন ধরেই চরক শপথের প্রস্তাব আসছিল। কিন্তু তা নিয়ে কোনও রকম চূড়ান্ত নির্দেশ দেয়নি ন্যাশনাল মেডিক্যাল কাউন্সিল। কিন্তু তার আগেই হবু ডাক্তারদের কেন ‘চরক’ পাঠ করানো হল তা নিয়ে প্রশ্ন। তাদের এই শপথ বাক্য পাঠ করিয়েছেন অধ্যক্ষ ডঃ রঘুনাথ মিশ্র। তিনি অবশ্য বলছেন, ন্যাশনাল মেডিক্যাল কাউন্সিলের পরামর্শ মেনেই এই কাজ করেছেন তিনি। উল্লেখ্য, গ্রিক চিকিৎসক হিপোক্রেটসের নামে হিপোক্রেটিক ওথ পাঠ করিয়ে চিকিৎসকের ধর্ম পালনের শপথ নেওয়ার রীতি প্রচলিত আছে। তার বদলেই ‘চরক’ পাঠ করানো হয়েছে। এই ইস্যু নিয়ে ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। স্বাভাবিকভাবেই বিজেপি-তৃণমূল বাদানুবাদ শুরু হয়ে গিয়েছে।
তৃণমূলের রাজ্যসভার সদস্য তথা চিকিৎসক শান্তনু সেন বলেন, কেন এইভাবে ‘চরক’ পাঠ করানো হল তা তিনি নিজেও বুঝতে পারছেন না। ‘চরক’ শপথের বিষয়টি এখনও বিবেচনাধীন। তাই এই বিষয়টি তিনি একদমই ভাল চোখে দেখছেন না। এর প্রতিবাদে আবার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল চত্বরে বিক্ষোভ দেখায় ছাত্র সংগঠন ডিএসও। সোশ্যাল মিডিয়াতে আবার শপথ পাঠ করানোর ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। নেটিজেনরাও এই ইস্যু নিয়ে বিভক্ত হয়ে গিয়েছে। তবে বিজেপির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, চিকিৎসাশাস্ত্র শুধুমাত্র পাশ্চাত্য চিকিৎসা বিজ্ঞানে আটকে নেই। ব্রিটিশরা যে জিনিস ভারতীয়দের ওপর চাপিয়ে দিয়েছিল তা এইভাবে ঝেড়ে ফেলা হল।