কলকাতা: কয়লাকাণ্ডে ইডি-র তলবে সোমবার দিল্লির জামনগরে হাজিরা দিয়েছিলেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়৷ সেখানে টানা ৯ ঘণ্টা জেরা করা হয় তাঁকে৷ ইডি-র দফতর থেকে বেরিয়েই অভিষেকের হুঙ্কার, বিজেপি’কে আমরাই হারাব৷ তিনি আরও বলেন, বাংলায় ২৫ জন বিজেপি বিধায়ক তৃণমূলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন৷ এর প্রেক্ষিতে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘আমি জানি না ২৫ কি ৫০৷ এই সময় ডায়লগ দিতে হয়৷ আগে তো বিধায়ক, সাংসদরা ইডি, সিবিআই এর থেকে বাঁচুন, তারপর আমাদের বিষয় ভাববেন।” এই বক্তব্যের পাল্টা জবাব দিলেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য৷
আরও পড়ুন- ‘ED নয় ঘণ্টা জেরা করলে অনেকেই আবোল তাবোল বলেন’, তীব্র কটাক্ষ দিলীপের
এদিন চন্দ্রিমা বলেন, ”আমাদের বিধায়করা সবাই ঠিকই আছে। অনেক তো হল, তারপরেও দিলীপবাবুর মুখে এসব কথা শুনে লোকে হাসছে। সুতরাং নিজেরা কী করবেন ভাবুন। আমাদের দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক যেটা বলেছেন, সেটা অত্যন্ত সঠিক কথা। ওঁরা ঘর সামলাতে ব্যর্থ৷’’ তিনি আরও বলেন, ‘যাঁরা দিলীপবাবুর নেতৃত্বে ছিলেন, তাঁরা অন্যান্য নেতৃত্বের কাছে চলে গিয়েছেন৷ দিলীপবাবুর নেতৃত্বটাই তো প্রশ্ন চিহ্নর মুখে আছে। সুতরাং এইসব কথা দিলীপবাবুর মুখে মানায় না।”
আরও পড়ুন- ‘SSC-র উপর আমার কোনও বিশ্বাস নেই’, কড়া সমালোচনা হাইকোর্টের
উল্লেখ্য, অভিষেকের কালকের বক্তব্যের পর দিলীপ ঘোষ কটাক্ষ করে বলেছিলেন, ৯ ঘণ্টা ধরে ইডি জেরা করার পর অনেকেই আবোল-তাবোল কথা বলেন৷ সবে তো শুরু৷ যাঁরা ভুবনেশ্বর গিয়েছিলেন, তাঁদের চেহারা পাল্টে গিয়েছে৷ ওঁরা ভেবেছিল সিআইডি-পুলিশ গিয়ে চমকে ধমকে রাখবে৷ ওঁনাদের আমলে কয়লা, বালি, পাথর পাচার হয়েছে৷ গরু পাচার হয়েছে৷