কলকাতা: CBI-এর চিঠি রাজ্য পুলিশের ডি জি বীরেন্দ্রকে। ইমেল মারফত তথ্য চেয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে। ভোট পরবর্তী হিংসার মামলার রায়ে বৃহত্তর বেঞ্চের নির্দেশ পরিপেক্ষিতে এই চিঠি বলেই জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন- নিয়োগ নেই, হাতে হারিকেন! চপ ভেজে, জুতো পালিশ করে D.EL.Ed প্রার্থীদের বিদ্রোহ!
রাজ্য পুলিশের ডিজি বীরেন্দ্রর কাছ থেকে সিবিআইয়ের তরফে জানতে চাওয়া হয়েছে, ভোট পরবর্তী বাংলায় ঠিক কতগুলি রাজনৈতিক খুন, ধর্ষণ এবং গণধর্ষণের মতো ঘটনা ঘটেছে? সেই ঘটনাগুলির এফআইআরের নথিপত্র চাওয়া হয়েছে। অভিযোগগুলি কোন কোন থানা এলাকার, তাও জানতে চাওয়া হয়েছে বলে খবর। পুলিশ আদৌ অভিযোগ খতিয়ে দেখে তদন্ত করেছে কিনা, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে কিনা অর্থাৎ কেউ গ্রেফতার হয়েছে কিনা তা জানাতে হয়েছে। গ্রেফতার হয়ে থাকলে ধৃত সম্পর্কিত সমস্ত তথ্যও জানাতে হবে সিবিআইকে। আসলে ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় সিবিআই-এর হাতে তদন্তভার আসার পরেই তৎপর কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা৷ হাইকোর্টের নির্দেশ পাওয়া মাত্রই উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে বসেন দিল্লি ও কলকাতার সিবিআই আধিকারিকরা৷ ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ৪টি বিশেষ টিম গঠন করে ফেলেছেন তাঁরা৷
আরও পড়ুন- সশস্ত্র তালিবানের সঙ্গে হাসিমুখে কল্যাণীর প্রাক্তনী, হতবাক পরিচিতরা
জানা গিয়েছে চারটি বিশেষ তদন্তকারী দলের প্রতিটিতে থাকবেন ৬-৭ জন করে অফিসার। সিবিআই সূত্রে খবর, এই টিমের একাধিক অফিসার আসবেন দিল্লি ও দেরাদুন থেকে৷ এই ৪টি দলে থাকছেন এসপি পদমর্যাদার ৩ জন আধিকারিক, ডিআইজি পদমর্যাদার ২ আধিকারিক এবং জয়েন্ট ডিরেক্ট পদমর্যাদার ১জন আধিকারিক৷ হাইকোর্টের নির্দেশ, খুন, অস্বাভাবিক মৃত্যু, ধর্ষণের মতো গুরুতর অপরাধের তদন্ত করবে সিবিআই৷ অন্যদিকে, অপেক্ষাকৃত কম গুরুত্বপূর্ণ অভিযোগগুলি খতিয়ে দেখবে স্পেশ্যাল ইনভেস্টেগেশন টিম (সিট)৷ মোট ৩০ জন দক্ষ অফিসারকে নিয়ে সিটি গঠন করা হয়েছে৷ যার মাথায় থাকবে মাথার ওপর থাকবেন জয়েন্ট ডিরেক্টর পদ মর্যাদার অফিসার। আগামী ৬ সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট পেশ করবে সিবিআই ও সিট৷