কলকাতা: নিয়োগের দাবিতে জেলায় জেলায় প্রার্থীদের বিক্ষোভ সমাবেশ। নিয়োগ প্রক্রিয়াকে স্বচ্ছ করার দাবি তুলেছেন আন্দোলনকারীরা। ডিএলএড পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া সত্ত্বেও প্রার্থীদের পূর্ণ শিক্ষকরূপে নিয়োগ করছে না রাজ্য সরকার। চাকরির দাবিতে বৃহস্পতিবার বারাসতের জেলা পরিষদের সামনে অভিনব আন্দোলন।
২০১৪ সালের চাকরি প্রার্থী ও ডিএল এড প্রশিক্ষিত চাকুরিপ্রার্থীদের বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচিতে ব্যাপক চাঞ্চল্য এলাকায়। তাঁদের দাবি, দীর্ঘদিন প্যানেলে নাম থাকা সত্ত্বেও তাদের নিয়োগপত্র দেওয়া হচ্ছে না।পাশাপাশি ২০১৪ সালের ডিএল এড প্রশিক্ষিত প্রার্থীরা দাবি করেন অনৈতিক ভাবে তাদের সরিয়ে বিএড প্রশিক্ষিত দের নিয়োগ এর চক্রান্ত চলছে, নিয়োগ হচ্ছে না। এদিন চাকরিপ্রার্থীরা জানান, বয়স বেড়ে গেলে ভবিষ্যতে তাদের নিয়োগ নিয়ে সমস্যা হতে পারে।প্যানেল লিস্টে নাম না থাকায় অনেক ডি.এল.এড প্রার্থী আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছে বলেও অভিযোগ।
এছাড়া এদিন বিক্ষোভ কর্মসূচির পাশাপাশি পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখার কথা চিন্তা করে কৃষ্ণনগরে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির আয়োজন করেন আন্দোলনকারীরা। তাদের নিয়োগ প্রক্রিয়া অবিলম্বে শুরু না হলে আগামীদিনে আরও বৃহত্তর আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা। বিক্ষোভ কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে তীব্র গরমে অুসুস্থ হয়ে পড়েন বেশ কয়েকজন চাকরিপ্রার্থী৷
একদিকে করোনা অন্যদিকে প্রাকৃতিক দুর্যোগ, টিউশন বন্ধ, তীব্র আর্থিক সংকটে রাজ্যের বহু ২০১৪ প্রাথমিক টেট পরীক্ষায় উত্তীর্ণ, ডি.এল.এড প্রশিক্ষিত প্রার্থীরা। দীর্ঘদিনের ডি.এল.এড প্রার্থীদের আন্দোলন ফলে মুখ্যমন্ত্রীর ১৬৫০০ প্রাথমিক শিক্ষক-শিক্ষিকা নিয়োগের ঘোষণা করেন। কিন্তু সেখানে সম্পূর্ণ প্রশিক্ষিত ডি.এল.এড প্রাথীদেরকেই বঞ্চিত করা হয়েছে বলে অভিযোগ। ডি.এল.এড প্রশিক্ষণ নিতে গিয়ে অনেকের শেষ সম্বল জমি,বাড়ি, মায়ের গয়না পর্যন্ত বিক্রি করতে হয়েছে, তবুও মেলেনি চাকরি। প্যানেল লিস্টে নাম না থাকায় অনেক ডি.এল.এড প্রার্থী আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছে বলেও অভিযোগ। ভবিষ্যতে রাজ্য সরকার তাদের দাবি না মানলে বড়সড় আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। এদিকে এই নিয়োগপ্রার্থীদের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তিত ওয়াকিবহাল মহলের একাংশ।