কলকাতা: পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনের আগে কয়লা পাচার এবং গরু পাচার কাণ্ডের তদন্ত নিয়ে যে ব্যাপকভাবে সক্রিয় হয়েছে সিবিআই তা বুঝতে কারো অসুবিধা হবে না। এই সক্রিয়তার প্রমাণ মিলল সিবিআইয়ের চার্জশিটে। গরু পাচার কাণ্ডে প্রধান অভিযুক্ত এনামুল হক সহ ৭ জন ব্যক্তির নাম রয়েছে চার্জশিটে, বাদ নেই মূল অভিযুক্তদের স্ত্রীদের নামও! আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালতে এ দিন এই চার্জশিট পেশ করা হয়েছে।
জানা গিয়েছে, সিবিআইয়ের আইনজীবী আদালতে আবেদন করেছেন যে, যাদের নাম চার্জশিটে রয়েছে তারা যেন আদালতে হাজিরা দেয়, এই নির্দেশ যেন দেওয়া হয়। সূত্রের খবর, এনামুল হক, সতীশ কুমার, গুলাম মুস্তাফা ও আনারুল শেখ-সহ এনামুলের স্ত্রী রসিদা বিবি, সতীশ কুমারের স্ত্রী তানিয়া সান্যাল, সতীশ কুমারের শ্বশুর বাদলকৃষ্ণ সান্যালের নাম রয়েছে এই চার্জশিটে। বিশেষজ্ঞদের অনুমান, মামলাটিকে আরো বেশি শক্তিশালী করার জন্যই সিবিআই এই পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। কারণ যে সময় গরু পাচার কাণ্ডে এনামুল গ্রেপ্তার হয়েছে তারপর থেকে ৬০ দিনের মধ্যে যদি চার্জশিট জমা না দেওয়া হতো তাহলে আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই তাঁর জামিন নিশ্চিত ছিল। মূলত জামিন আটকাতে এবং মামলাকে আরো বেশী জটিল এবং শক্তিশালী করতেই এই চার্জশিট পেশ করেছে সিবিআই এবং সেখানে নাম রাখা হয়েছে অভিযুক্তদের স্ত্রীদের, এমনটাই মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: লালা মামলায় সিঙ্গেল বেঞ্চের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে CBI, হানা বাঁকুড়ার অবৈধ কয়লা খাদানে
অন্যদিকে, লালা মামলায় ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন সিবিআই-এর৷ সিঙ্গেল বেঞ্চর নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে কলকাতা হার্কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন জানিয়েছে সিবিআই৷ এদিকে সোমবার বাঁকুড়ার মেজিয়ায় কয়লা তদন্তে নামলে সিবিআই৷ বাঁকুড়ার মেজিয়ার ভুলুই, কালিকাপুরের একাধিক অবৈধ কয়লা খাদানে হানা দিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা৷ দীর্ঘ দিন ধরেই অবৈধ ভাবে এই সকল খাদানে কাজ চলছিল৷ জনা গিয়েছে, এই এলাকার প্রতিটি খাদানে গিয়ে তল্লাশি চালাচ্ছেন সিবিআই আধিকারিকরা৷ বিশেষ যন্ত্রের সাহায্যে খতিয়ে দেখা হচ্ছে খাদানগুলির গভীরতা৷