কলকাতা: লালা মামলায় ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন সিবিআই-এর৷ সিঙ্গেল বেঞ্চর নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে কলকাতা হার্কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন জানিয়েছে সিবিআই৷ কয়লা পাচার ও আসনসোলের শিল্পাঞ্চলে অবৈধ খাদান নিয়ে একটি এফআইআর দায়ের করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা৷ যেখানে মূল অভিযুক্ত হিসাবে চিহ্নিত করা হয় অনুপ মাঝি ওরফে লালাকে৷
আরও পড়ুন- বাঙালিকে খুশ করতে বাংলা উচ্চারণে শান নরেন্দ্র মোদীর!
অন্যদিকে এই এফআইআর রাজ্যের অনুমতি ছাড়া করা হয়েছে বলে দাবি জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করে লালা৷ এই মামালায় লালার আবেদন খারিজ করে হাইকোর্ট৷ উল্লেখ্য বিষয় হল, কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য এই মামলার শুনানির সময় বলেন, রেলের এলাকায় সিবিআই-কে তল্লাশি করতে গেলে রাজ্যের অনুমতি প্রয়োজন নেই৷ কিন্তু রেলওয়ের এলাকার বাইরে তাল্লাশি করতে গেলে রাজ্যর অনুমতি নিতে হবে৷ এখানেই তীব্র আপত্তি জানায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা৷ মনে করা হচ্ছে এই রায়ে সিবিআইএর সম্মান বা সিবিআই-এর এক্তিয়ারের উপর অযথা হস্তক্ষেপ করেছে কলকাতা হাইকোর্ট৷
সিঙ্গেল বেঞ্চেন এই নির্দেশ খারিজ করার আবেদন জানিয়েই ডিভিশন বেঞ্চে মামলা করা হয়েছে৷ এবং এই মামলাটি জরুরি ভিত্তিতে শুনানির আবেদন জানানো হয়েছে৷ আগামীলকাল ডভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হবে৷
প্রসঙ্গত, বর্তমানে দুটি মামলা রয়েছে সিবিআর-এর হাতে৷ একটি গরু পাচার ও অপরটি কয়লা পাচার কাণ্ড৷ সিবিআই-এর তদন্তে বাঁধা দেওয়া হলে তা সমস্যা তৈরি হবে বলেই মনে করা হচ্ছে৷ প্রয়োজনে তারা সুপ্রিম কোর্টে যেতে পারে বলেও জানানো হয়েছে৷
আরও পড়ুন- মুখ্যমন্ত্রীর কাছে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যাওয়া ২ বিধায়ক! প্রবল জল্পনা
এদিকে সোমবার বাঁকুড়ার মেজিয়ায় কয়লা তদন্তে নামলে সিবিআই৷ বাঁকুড়ার মেজিয়ার ভুলুই, কালিকাপুরের একাধিক অবৈধ কয়লা খাদানে হানা দিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা৷ দীর্ঘ দিন ধরেই অবৈধ ভাবে এই সকল খাদানে কাজ চলছিল৷ জনা গিয়েছে, এই এলাকার প্রতিটি খাদানে গিয়ে তল্লাশি চালাচ্ছেন সিবিআই আধিকারিকরা৷ বিশেষ যন্ত্রের সাহায্যে খতিয়ে দেখা হচ্ছে খাদানগুলির গভীরতা৷ প্রশাসনের নাকের ডগায় কে বা কারা দীর্ঘদিন ধরে এই খাদানগুলো চালাত সেই বিষয়গুলিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে৷