কলকাতা: ভোট পরবর্তী অশান্তি মামলায় সিবিআই-এর হাতে তদন্তের ভার তুলে দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট৷ আদালত জানিয়েছিল খুন, ধর্ষণ, অস্বাভাবিক মৃত্যুর মতো গুরুতর অভিযোগের তদন্ত করবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা৷ আর তুলনামূলক কম গুরুতর অভিযোগ খতিয়ে দেখার জন্য গঠন করা হবে স্পেশ্যাল ইনভেস্টিগেশন টিম (সিট)৷ কলকাতা হাই কোর্টের সেই নির্দেশের ১০ দিন পার। ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করে দিয়েছে সিবিআই৷ কিন্তু সিট কোথায়? প্রশ্ন তুলে ফের হাইকোর্টের দ্বারস্থ হচ্ছেন মামলাকারীদের একাংশ।
মামলাকারীদের অভিযোগ, ১৯ শে অগাস্ট হাই কোর্টের রায়কে কেন মান্যতা দিচ্ছে না সরকার ? সিট গঠিত না হলে, আদালতের নির্দেশ মোতাবেক কী ভাবে ৬ সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট জমা দেবে সিট? প্রশ্ন তুলে কালই আবেদনের সম্ভাবনা ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির এজলাসে।
আরও পড়ুন- সদ্য নির্বাচিত বিধায়ক যোগ দিলেন তৃণমূলে! বাংলায় বড় ভাঙন বিজেপিতে
এই মামলার তদন্তে কলকাতা পুলিশ কমিশনার সৌমেন মিত্র, সুমন বালা সাউ, নিলেশ কুমারকে নিয়ে গঠন করা হয় স্পেশাল ইনভেস্টিকেশন টিম৷ বলা হয়, আদালতের পর্যবেক্ষণেই কাজ করবেন তাঁরা৷ কিন্তু অভিযোগ, সিবিআই কাজ শুরু করলেও সিট কাজ করছে না৷ উল্লেখ্য বিষয় হল, রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত ঘুরে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সুপারিশ ছিল ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনায় তদন্ত ভার দেওয়া হোক সিবিআই-এর হাতে৷ সেই সুপারিশকেই এদিন মান্যতা দিল ৫ বিচারপতির বৃহত্তর বেঞ্চ৷ এছড়াও জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকরা এই মমলায় যুক্ত হওয়ার যে আবেদন করেছিলেন, তা খারিজ করা হয়েছে৷
ভোট পরবর্তী হিংসায় কলকাতা হাই কোর্টে ৬টি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল৷ ৩রা অগাস্ট মামলার শুনানি শেষ হয়। দু’সপ্তাহ পর মামলার চূড়ান্ত রায় ঘোষণা হল আজ। গত ১৮ জুন অভিযোগ খতিয়ে দেখতে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। গত ১৩ জুলাই কমিশন তাদের রিপোর্ট জমা দেয়৷ ওই রিপোর্ট ঘিরে ব্যাপক বিতর্ক হয়৷ রাজ্য সরকার, পুলিশ ও প্রশাসনের তীব্র সমালোচনা করে রিপোর্ট পেশ করে কমিশনের স্পেশ্যাল টিম৷ পাল্টা রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে এই রিপোর্টকে মিথ্যে ও পক্ষপাতদুষ্ট বলে দাবি করা হয়৷ অবশেষে ১৯ তারিখ সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয় আদালত৷