সদ্য নির্বাচিত বিধায়ক যোগ দিলেন তৃণমূলে! বাংলায়‌ বড় ভাঙন বিজেপিতে

সদ্য নির্বাচিত বিধায়ক যোগ দিলেন তৃণমূলে! বাংলায়‌ বড় ভাঙন বিজেপিতে

কলকাতা: পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনে নিজেদের চাহিদা অনুযায়ী ফল করতে পারেনি বিজেপি। বরং বলা ভালো কাঙ্খিত ফলের ধারে কাছে যেতে পারেনি গেরুয়া শিবির। ৭৭ আসন পেলেও বিধায়কদের মধ্যে দুজন সাংসদ হিসেবে রয়ে গিয়েছেন এবং মুকুল রায় তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন। এদিকে আজ আবার বড় ভাঙন হল বিজেপিতে। সদ্য নির্বাচিত বিষ্ণুপুরের বিজেপি বিধায়ক তন্ময় ঘোষ যোগ দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসে। 

আরও পড়ুন- মাথার ঘায়ে কুকুরের পাগল হওয়ার অবস্থা! উপনির্বাচন নিয়ে কটাক্ক দিলীপের 

এদিন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর উপস্থিতিতে ঘাসফুল শিবিরের পতাকা হাতে তুলে নেন বিষ্ণুপুরের বিজেপি বিধায়ক তন্ময় ঘোষ। তিনি তৃণমূলে যোগ দিতেই বিজেপির বিধায়ক সংখ্যা রাজ্যে এসে দাঁড়াল ৭৪-এ। অর্থাৎ রাজ্যে বিজেপি আগের থেকেও আরো একটু বেশি চাপে পড়ল তা বলাই বাহুল্য। এদিন তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার পর তন্ময় জানান, তিনি প্রথমেই ভারতের সবথেকে জনপ্রিয় মুখ এবং কাজের মানুষ তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ জানাচ্ছেন। একই সঙ্গে তিনি তৃণমূল কংগ্রেস সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ জানাচ্ছেন। তাঁর কথায়, বিজেপি বাংলার বিধানসভা নির্বাচনে বলপূর্বক রাজ্য দখল করার চেষ্টা করেছে এবং এখন প্রতিহিংসামূলক রাজনীতি করছে। একই সঙ্গে কেন্দ্রীয় এজেন্সি লাগিয়ে ভয় দেখানোর চেষ্টা করছে তারা। তিনি আরো বলেন, বিজেপি আদতে বাংলার ঐতিহ্য নষ্ট করার চেষ্টা করছে এবং বাঙালির সংস্কৃতিতে হস্তক্ষেপ করছে। এই প্রেক্ষিতে তিনি মন্তব্য করেন যে বিজেপির এই মনোভাবের প্রতিবাদেই তিনি দল ছাড়লেন। পাশাপাশি তিনি রাজ্যের সকল স্তরের নেতৃত্বকে তৃণমূল কংগ্রেস তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সমর্থন করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন। রাজ্যের উন্নয়নের শামিল হতে ঘাসফুল শিবিরে যোগ দিয়েছেন এই মন্তব্য করা তন্ময় বলছেন যে, ভবিষ্যতে আরো বিজেপি বিধায়ক দলবদল করবেন।

আরও পড়ুন- নথি ছাড়াই চাকরিতে বহাল শিক্ষক, মামলা হতেই কেঁচো খুঁড়তে কেউটে 

এই দলবদল প্রসঙ্গে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, বিজেপির নিজের দলের লোক এবং জনপ্রতিনিধিরাই বুঝতে পারছে যে তারা প্রতিহিংসামূলক রাজনীতি করছে এখন। নির্বাচনে হেরে গিয়ে এবং তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে লড়াইয়ে না পেরে এখন কেন্দ্রীয় এজেন্সি দিয়ে ভয় দেখাচ্ছে তারা। কেন্দ্রীয় সরকার তথা কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতৃত্ব যে বাংলার মানুষকে ছোট করতে চাইছে সেটা একদম পরিষ্কার। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *