হল না শেষ রক্ষা, বাড়ির মন্দির থেকেই গ্রেফতার অনুব্রত মণ্ডল!

হল না শেষ রক্ষা, বাড়ির মন্দির থেকেই গ্রেফতার অনুব্রত মণ্ডল!

কলকাতা: গরু পাচারকাণ্ডে সিবিআই-এর হাতে গ্রেফতার অনুব্রত মণ্ডল৷ এদিন সকালে ঘড়িতে তখন ১০টা৷ তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের বাড়িতে ঢোকে সিবিআই৷ ভিতরে থেকে তালা বন্ধ করে দেওয়া হয় দরজা৷ এর পরেই খোঁজ শুরু হয় কেষ্টর৷ অবশেষে তাঁর খোঁজ মেলে ঠাকুর ঘরে৷ দরজা বন্ধ করে ঠাকুরের সামনে বসেছিলেন তিনি৷ কিন্তু, শেষ রক্ষা আর হয়নি৷ সেখান থেকেই তাঁকে তুলে নিয়ে যায়  সিবিআই৷   

আরও পড়ুন- হল না শেষ রক্ষা, বাড়ির মন্দির থেকেই গ্রেফতার অনুব্রত মণ্ডল!

গ্রেফতার করার পরই প্রথমে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে৷ এর পর অনুব্রতকে বেলপুরে সিবিআই-এর ক্যাম্প অফিসে নিয়ে যাওয়া হবে বলে সূত্রের খবর। জানা গিয়েছে, এতদিন সিআরপিসি’র ১৬০ নোটিশ দেওয়া হচ্ছিল, এদিন তাঁকে ৪১ (এ) নোটিস দেওয়া হয়৷ অর্থাৎ অভিযুক্ত হিসাবে নোটিস দেওয়া হয় তৃণমূল নেতাকে৷ এদিকে কেন্দ্রীয় এজেন্সির জালে আরও একটি হেভিওয়েট নেতা ধরা পড়তেই অস্বস্তিতে তৃণমূল৷ 

আজ সকাল ১০টার কিছু আগে অনুব্রতর নীচুপট্টির বাড়িতে পৌঁছন সিবিআই আধিকারিকরা। সঙ্গে কেন্দ্রীয় বাহিনীর প্রচুর জওয়ান। সিবিআই আধিকারিকরা অনুব্রতর বাড়িতে ঢুকে বাড়ির সমস্ত দরজায় তালা বন্ধ করে দেন।  কমলা রঙের লোহার গেটে ভিতের থেকে ঝুলিয়ে দেওয়া হয় তালা। অন্যদিকে, বাইরে থেকে গোটা বাড়ি ঘিরে ফেলে সিআরপিএফ জওয়ানরা৷  

অনুব্রতর বাড়ির পাশে গ্যারেজের গেট গিয়ে ভিতরে ঢোকেন সিবিআই-এর আধিকারিকরা। এই গ্যারেজে বসেই দলীয় কাজকর্ম করে থাকেন কেষ্ট৷  বাড়ির ভিতরে ঢুকে সিবিআই আধিকারিকরা তাঁর খোঁজ করতে শুরু করেন। প্রথমে তাঁর খোঁজ মিলছিল না। শেষমেশ জানতে পারেন ঠাকুরঘরের মধ্যে রয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল।  সেখান থেকেই গ্রেফতার করা হয় তাঁকে৷