কলকাতা: করোনার তৃতীয় ঢেউ নিয়ে আশঙ্কা। তার মাঝেই বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজো। এই মহোৎসবে ভিড় নিয়ন্ত্রণ এবং করোনা বিধির কথা জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা রুজু। মামলাকারীর আবেদন, হাইকোর্ট গত বছর যে নির্দেশিকা জারি করেছিল সেটাই এবছর বলবত থাকুক। গতবারে হাইকোর্টের নির্দেশে কারণেই করোনার সংক্রমণ অনেকটা ঠেকানো সম্ভব হয়েছিল।
আরও পড়ুন- কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে অধীর চৌধুরী? দিলীপ মন্তব্যে ভাঙনের ইঙ্গিত
মামলাকারী অজয় কুমার দে আদালতে এই ইস্যুতে পিটিশন ফাইল করেছেন। আইনজীবী জানিয়েছেন, গতবার করোনা বিধি নিষেধ থাকার কারণে পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে ছিল এবারও যেন তাই করা হয়, সেই আবেদন করেছেন তিনি। কারণ ইতিমধ্যেই আগামী কয়েক সপ্তাহে করোনা তৃতীয় ঢেউ আসার ইঙ্গিত মিলেছে। প্রসঙ্গত, পুজোর আগেই ৩০ সেপ্টেম্বর তিনি জায়গায় নির্বাচন হচ্ছে। ওদিকে পুজোর পরেও কয়েকটি কেন্দ্রে উপনির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে। তাই এই সময়টা যে বেশ ঝুঁকিপূর্ণ তা অস্বীকার করা যায় না। পুজোতে সাধারণ মানুষের ভিড় রাস্তায় বাড়লে ভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ার একটা সম্ভবনা থাকছে।
আরও পড়ুন- গ্রামীণ চিকিৎসককে ছুরি দিয়ে খুনের চেষ্টা! গণপিটুনিতে মর্মন্তিক মৃত্যু যুবক
উল্লেখ্য, গত বছর অর্থাৎ ২০২০ সালেও দুর্গাপুজো নিয়ে হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল। মামলার আবেদনে কেরলের ওনাম উৎসবের পর করোনা পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করে বাংলার দুর্গোৎসব নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছিল। সেই সময় দাবি করা হয়েছিল, উৎসবের দিনগুলিতে সংক্রমণের হার ৩ থেকে ৫ গুন বেড়ে যেতে পারে৷ প্রসঙ্গত, গত বছর বাংলার সমস্ত পুজোমণ্ডপে ‘নো এন্ট্রি’ করা হয়েছিল দর্শকদের জন্য। নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, পুরোহিত, ঢাকি ও পুজোর উপাচারে যুক্ত ব্যক্তিরা অংশ নিতে পারেন৷ তবে, বড় মণ্ডপে সর্বাধিক ৬০ জনের প্রবেশাধিকার থাকবে৷ তবে একসঙ্গে ৪৫ জন প্রবেশ করতে পারবেন না৷ ৩০০ বর্গমিটারের কম মণ্ডপে ১৫ জনের বেশি প্রবেশে করা যাবে না৷ একসঙ্গে ১০ জন ঢুকতে পারবেন না৷ এবার দেখা যাক কী জানায় আদালত।