কলকাতা: বিধানসভা ভোটের আগে বিজেপি’র স্রোতে গা ভাসিয়েছিলেন ঝাঁকে ঝাঁকে নেতারা৷ কিন্তু ভোটের ফল প্রকাশ হতেই বইতে শুরু করে উল্টো স্রোত৷ বিজেপি’ত ভাঙন ধরিয়ে ক্রমেই নিজেদের দূর্গ পাকা করছে তৃণমূল৷ প্রায় প্রতিদিনই কোনও না কোনও নেতা নাম লেখাচ্ছেন শাসক দলে৷ দিন কয়েক আগেই সকলকে রীতিমতো চমক দিয়ে রাজনৈতিক সন্ন্যাস ভেঙে তৃণমূলে যোগ দেন বাবুল সুপ্রিয়৷ অন্যদিকে, শাসক শিবিরে যোগ দিতে চলেছেন ফরাক্কার পাঁচ বারের কংগ্রেস বিধায়ক মইনুল হক৷ এই পরিস্থিতিতে অধীর রঞ্জন চৌধুরীর দল বদলের জল্পনা উস্কে দিলেন সদ্য প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ৷
আরও পড়ুন- তেলের দাম নিয়ে দ্বিচারিতা করছে তৃণমূল সরকার: বিস্ফোরক পুরী
কোনও রকম রাখঢাক না রেখে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরীকে সরাসরি বিজেপি’তে যোগদানের পরামর্শ দিলেন বিজেপি’র সর্বভারতীয় সহ সভাপতি৷ প্রসঙ্গত, আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর ভবানীপুরে উপনির্বাচনের পাশাপাশি ভোট হবে মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জ ও জঙ্গিপুর বিধানসভায়৷ সেখানে ভোট প্রচারের দায়িত্ব রয়েছে বিজেপির নয়া সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষের কাঁধে৷ প্রচার শুরুর আগে বহরমপুর রেল স্টেশনে সাংবাদিকদের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে অধীরবাবুর দলবদলের জল্পনা উসকে দিলেন তিনি। দিলীপ ঘোষের কথায়, “অধীরবাবু ডুবন্ত জাহাজ ছেড়ে বেরতে চাইছেন। কিন্তু তিনি যেখানে যেতে চাইছেন সেটাও ফুটো হয়ে গিয়েছে। এখন তাঁর কাছে একমাত্র ভরসার জায়গা ভারতীয় জনতা পার্টি।”
আরও পড়ুন- গ্রামীণ চিকিৎসককে ছুরি দিয়ে খুনের চেষ্টা! গণপিটুনিতে মর্মন্তিক মৃত্যু যুবক
এদিকে ভবানীপুরেও চলছে জোড় ভোটের প্রচার৷ গতকাল থেকেই রাজ্যে রয়েছেন কেন্দ্রীয় পেট্রোলিাম মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরী৷ অন্যদিকে, গতকাল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বুথ মেট্রোপলিটন ইনস্টিটিউশনের সামনে থেকে প্রচার শুরু করেন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো৷ প্রচারে পুলিশের সঙ্গে ঝামেলাতেও জড়ান তাঁরা৷ এদিন পুরী বলেন, ভবানীপুরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে চোরা স্রোত রয়েছে৷