কলকাতা: প্রাথমিকের ভুল প্রশ্ন মামলায় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যকে সশরীরে আদালতে হাজিরার নির্দেশ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের। আগামী সোমবার সকাল ১১ টার সময় হাজিরা দিতে হবে মানিক ভট্টাচার্যকে। বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায়ের নির্দেশের পরেও কেন ভুল প্রশ্নের যারা উত্তর দিয়েছেন তাদের নম্বর দেওয়া হয়নি, সেই মর্মে দায়ের হয় আদালত অবমাননার মামলা। তার প্রেক্ষিতেই এই হাজিরার নির্দেশ।
আরও পড়ুন- হিন্দুদের রক্ত লেগে মমতার হাতে! ‘দুর্গা প্রতিমা’ তৈরিতে ক্ষুব্ধ অমিত
এই মামলাতে আগেই কলকাতা হাইকোর্ট জানিয়েছে, ভুল প্রশ্ন অ্যাটেম্প্ট করলেই ফুল মার্কস। নম্বর দিয়ে নিয়োগ কার্যকর করতে হবে। সেই নির্দেশ আগামী তিন সপ্তাহের মধ্যে কার্যকরের কথা। এই সময়ের মধ্যেও নির্দেশ কার্যকর না করা হয় তাহলে আরও কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে পারে কলকাতা হাইকোর্ট বলে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। এর আগে প্রাথমিক টেট প্রশ্ন ভুল মামলায় কলকাতা হাইকোর্ট তুলোধোনা করে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে। সেই প্রেক্ষিতেই প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ সভাপতিকে জরিমানা করা হয়। সভাপতিকে ব্যক্তিগত ভাবে ১৯ জন মামলাকারীকে ২০ হাজার টাকা করে মোট ৩ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা জরিমানা দিতে বলা হয়।
আরও পড়ুন- ভোট পরবর্তী হিংসার তদন্তে রাজ্যের গঠিত SIT-এর মাথায় মঞ্জুলা চেল্লুর
গত ২৩ ডিসেম্বর প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানায়, টেটর ভিত্তিতে ১৬ হাজার ৫০০ শূন্যপদে নিয়োগ করা হবে। নির্দেশিকা অনুযায়ী, ২০১৪ সালে টেট উত্তীর্ণরা আবেদন করতে পারবেন। এরপরই ১৯ জন চাকরি প্রার্থী এই নির্দেশিকাকে চ্যালেঞ্জ করে আদালতে যান। তাঁদের দাবি ছিল যে, ২০১৪ সালের টেট প্রশ্নপত্রে ছ’টি ভুল প্রশ্ন করা হয়েছিল। যে অভিযোগ উঠেছিল তার ভিত্তিতেই ২০১৮ সালে বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায় বিশ্বভারতীর বিশেষজ্ঞকে দিয়ে সেই ৬ টি প্রশ্ন সঠিক কিনা তা যাচাই করেন। বিশ্বভারতী জানায়, ৬ টি প্রশ্নই ভুল ছিল। সে সময় বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছিলেন, যাঁরা যাঁরা প্রশ্নের উত্তর দিয়েছিলেন তাদেরই পুরো নম্বর দিতে হবে। কিন্তু তখন সেই মত নির্দেশ পালন করা হয়নি। সেই নিয়ে এখনও টানাপোড়েন অব্যাহত।