বদলি আটকালো হাইকোর্ট, নির্দেশিকায় স্থগিতাদেশ জারি

বদলি আটকালো হাইকোর্ট, নির্দেশিকায় স্থগিতাদেশ জারি

9edf58daa756450c3da28b4b1cf2851d

কলকাতা: চুক্তিভিত্তিক শিক্ষকের স্থানান্তর সংক্রান্ত নির্দেশিকার ওপরে অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ জারি করল কলকাতা হাইকোর্ট। জনৈক্য অনিমা নাথ হুগলির একটি বিদ্যালয় চুক্তিভিত্তিক শিক্ষকের চাকরি করতেন। তিনি ভোকেশনাল টিচার ছিলেন। ১৯ আগস্ট ২০২১ তাকে হুগলি থেকে মালদহ হয়ে স্থানান্তর করা হয়। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন অনিমা। কিছুদিন আগেই বদলি নিয়ে অসন্তোষের জেরে বিকাশ ভবনের সামনে যে শিক্ষিকারা বিক্ষোভ দেখিয়ে বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন তাঁদের মধ্যে ছিলেন এই অনিমা নাথ। তার দায়ের করা মামলার প্রেক্ষিতেই আজ শুনানি ছিল কলকাতা হাইকোর্টে।

আরও পড়ুন- BREAKING: মানস ভুঁইয়ার ছেড়ে যাওয়া আসনে সুস্মিতা দেব, রাজ্যসভার প্রার্থী ঘোষণা তৃণমূলের 

বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্যের নির্দেশ চুক্তিভিত্তিক শিক্ষকদের এইভাবে স্থানান্তরের নির্দেশিকা জারি করা যায় না। এই ধরনের কোনো নিয়ম নেই। রাজ্য ও আবেদনকারীকে হলফনামা জমা দিতে বলল কলকাতা হাইকোর্ট। পাশাপাশি ৩০ নভেম্বর ২০২১ পর্যন্ত অনিমা নাথের স্থানান্তরের নির্দেশের উপরে অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ জারি করলেন বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্য। মামলার পরবর্তী শুনানি ১৫ নভেম্বর। গতকালই হাইকোর্ট জানিয়েছিল যে, রাজ্য যে পদ্ধতিতে বদলির নোটিশ পাঠিয়েছে বাজে পদ্ধতিতে বদলি করছে তা বৈধ পদ্ধতি নয়। রাজ্য এখানে কাজ করতে পারে না। শিক্ষকরা সমাজ গড়ার কারিগর। তাদের ক্ষেত্রে কোনো রাজনৈতিক সমীকরণ চলে না। রাজ্য যে নিয়ম কলকাতা হাইকোর্টে দেখাচ্ছে তা বৈধ নয়।

আরও পড়ুন- শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ শ্যামল আদকের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নয়, নির্দেশ হাইকোর্টের

বদলির প্রতিবাদে বিকাশ ভবনের সামনে পাঁচ শিক্ষিকার বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টায় তোলপাড় হয় রাজ্য৷ শুরু হয় রাজনৈতির তরজাও৷ বিক্ষোভকারীদের মূল অভিযোগ ছিল, লাগাতার আন্দোলন করার ফলে তাঁদের অনৈতিকভাবে বদলি করে দেওয়া হয়েছে। এর প্রতিবাদেই তাঁরা বিক্ষোভ প্রদর্শন করতে আসেন। পুলিশের সঙ্গে তাঁদের ধস্তাধস্তিও হয়। সেই সময়েই হঠাৎ করে তাঁরা ‘বিষ’ খেয়ে নেন৷ আন্দোলনকারীদের একজন জানান, যে তাঁকে হঠাৎ দিনহাটায় বদলি করে দেওয়া হয়েছে৷ যেটা কখনই হওয়ার কথা ছিল না৷ ‘আত্মহত্যা’ করে তাঁরা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই দায়ী করতে চান বলেই জানিয়েছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *