কলকাতা: বাংলার বিধানসভা নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাঁড়িয়েছিলেন নন্দীগ্রাম থেকে। চিরাচরিত ভবানীপুর আসন ছেড়ে দিয়েছিলেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়কে। কিন্তু শোভনদেব নির্বাচনে জিতলেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হেরে যান শুভেন্দু অধিকারীর কাছে। সেই কারণেই ভবানীপুরের বিধায়ক হওয়ার পরেও সেই পদ ছেড়ে দেন শোভনদেব এবং এখন সেই আসনে উপনির্বাচন সংঘটিত হচ্ছে যেখানে প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই পদক্ষেপের কারণে এখন কলকাতা হাইকোর্টের ভর্ৎসনার মুখে রাজ্যের কৃষি মন্ত্রী।
আরও পড়ুন- খরচ কোটিতে! উপনির্বাচনের ব্যয় নিয়ে আদালতে প্রশ্নের মুখে কমিশন
জনগণের ভোটে জিতে কী কারণে শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় পদত্যাগ করলেন? এদিন কলকাতা হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দালের বেঞ্চ সরাসরি এই প্রশ্ন করল রাজ্যের কৃষি মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়কে। এই প্রসঙ্গে আদালত জানিয়েছে, একটি নির্বাচন করতে বিপুল অর্থের প্রয়োজন হয় এবং সব অর্থই জনগণের। তাই একজন প্রার্থী মানুষের ভোটে নির্বাচিত হওয়ার পর কেন পদত্যাগ করলেন, আর এইভাবে আদেও পদত্যাগ করা যায় কিনা, তা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছে আদালত। আসলে শুধু ভবানীপুরে নয় আরো বেশ কয়েকটা আসনে উপনির্বাচন সংঘটিত হবে। অনেকেরই যুক্তি ছিল যে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভবানীপুরে না দাঁড়িয়ে সেই সব কেন্দ্রের মধ্যে একটিতে দাঁড়াতে পারতেন যেখানে উপনির্বাচন হতই। কারণ তাঁকে যে কোনো একটি কেন্দ্র থেকে বিধায়ক হয়ে মুখ্যমন্ত্রী থাকতে হত। সে ক্ষেত্রে ভবানীপুর থেকেই লড়তে হবে এমন কোন মানে ছিল না। তাই এই ইস্যুতে প্রশ্ন তুলছে আদালতও।
আরও পড়ুন- পরিবেশ বাঁচানোর দাবিতে ধর্মঘট! কুর্নিশ পরিবেশকর্মীদের
এদিকে, শুধুমাত্র ভবানীপুর বিধানসভায় উপনির্বাচন কেন? এই প্রশ্ন তুলে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে৷ সেই মামলায় নির্বাচন কমিশনের পেশ করা হলফনামায় সন্তুষ্ট নয় ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দালের ডিভিশন বেঞ্চ। ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির প্রশ্ন, মুখ্য সচিব কী ভাবে বলতে পারেন একটা কেন্দ্রের নির্বাচন না হলে সাংবিধানিক সংকট দেখা দেবে? তিনি কি মুখ্যমন্ত্রী ঠিক করতে পারেন? প্রসঙ্গত, আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর ভবানীপুরে উপনির্বাচন৷